Created by Admin Blog 2020-04-20
লেখক কর্নারযুক্তরাষ্ট্রের ক্যামব্রিজ ভিত্তিক বায়োটেক কোম্পানি মডার্না থেরাপেটিকস করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে হওয়া কোভিড-১৯ রোগের প্রতিষেধক বাজারে আনতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এটি টেস্টের জন্য অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছেন। জাপানে কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাত্রীবাহী জাহাজ ডায়মন্ড প্রিন্সেসের কোভিড-১৯ আক্রান্ত এক যাত্রী স্বেচ্ছায় নিজের ওপর এ ভ্যাক্সিন পরীক্ষা করাতে আগ্রহী হয়েছেন। এ রোগে আক্রান্ত আরও অনেকেই এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
এছাড়া আরেকদল গবেষক জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এ বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়েই তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে, ব্রিটিশ সরকার গঠিত ভ্যাকসিন প্রস্তুত টাস্কফোর্সের অন্যতম উপদেষ্টা জন বেল।শনিবার বিবিসি রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খবর বিবিসি ও দ্য টেলিগ্রাফের।
জন বেল জানান, চলতি সপ্তাহেই করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করেছেন অস্কফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তবে কবে বাজারে আসবে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা পরীক্ষা সম্পন্ন করা যাতে বাজারে আসলে মানুষ এর সুফল পায়।
ব্রিটিশ সরকারের এই উপদেষ্টা আরো জানান, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো– এটি কি মানুষকে আসলেই রক্ষা করবে? কারণ ভ্যাকসিনটির পুরো কার্যক্রম তখনই বলা যাবে, যখন আপনি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের দেহে এর প্রয়োগ করবেন।
তার পর তাদের সুস্থ হওয়ার লক্ষণ দেখতে হবে। তারও পরে তাদের আবারও এই ভাইরাসটির সংস্পর্শে নিতে হবে এবং তখন তাদের মধ্যে কতজন ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছেন সেটি হিসাব করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, যদি সব কিছু ঠিকমতো এগোয় আর এটির কার্যকারিতা প্রত্যাশিত মানের হয়, তা হলে আমি মনে করি- অক্সফোর্ডের গবেষকরা আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই এর সব ধরনের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন।
তিনি জানান, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো তাদের তৈরি করোনার এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করেছেন। এর আগে ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগের কার্যকারিতা ও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগামী মে মাসের মাঝামাঝি কিংবা শেষ দিকে যদি দেখা যায় মানুষের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভ্যাকসিনটির শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে, তা হলে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাবে। পরবর্তী এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে কীভাবে শত শত কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজটি শুরু করা হবে।
পরিশেষে বলা যায়, করোনার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য পুরো পৃথিবীর সকল বড় বড় গবেষক দল কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানা গেছে পৃথিবীর মোট ৭০ টিরও বেশি ঔষধ কোম্পানী এর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য গবেষনা চালাচ্ছেন এর মাঝে অনেকেই এগিয়ে গেছেন। চুড়ান্ত সাফল্য তখনই আসবে যখন এই ভুয়াকসিন প্রয়োগে মানুষ আরোগ্য লাভ করবে।
সভ্যতার জয়ের অপেক্ষায়।
© 2019 BoiBazar.com All Rights Reserved | Design by BoiBazar.com