মাস্ক পরলে যারা চশমা পরেন তারা একটা সমস্যায় পড়েন আর সেটি হল চশমার কাঁচ ঘোলাটে হয়ে যাওয়া। এর কারন হলো শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে নির্গত বাতাস চশমায় গিয়ে জমা হয়। এতে এক পর্যায়ে চশমা ঘোলাটে হয়ে যায়। আর তাই কিছুক্ষণ পর পর চশমার কাঁচ পরিষ্কার করতে হয়।
এর ফলে চোখে ভাইরাস যাওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে চশমা ঘোলাটে হওয়ার এই সমস্যা এড়ানোর কার্যকর উপায় রয়েছে। আর তা ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমেই সম্ভব। আসুন আমরা জেনে নেই কীভাবে চশমার ঘোলাটে হওয়া এড়ানো যায়:
সাবান মিশ্রিত পানিঃ
মাস্ক পরার আগে চশমার কাঁচকে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এতে কাজ হয় বলে জানিয়েছেন দ্য রয়েল কলেজ অব সার্জন্স অব ইংল্যান্ডের একজন সার্জন। তিনি বলেন, সাবান পানিতে চশমার কাঁচ ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিলে কুয়াশা প্রতিরোধ হবে। এর কারণ হলো, সাবান সারফেস অ্যাক্টিভ অ্যাজেন্ট (সারফেক্ট্যান্ট) হিসেবে কাজ করে ও চশমার কাঁচে একটি পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে, যা চশমাকে ঘোলাটে হতে দেয় না।
বেবি শ্যাম্পু ব্যবহারেঃ
বেশিরভাগ শ্যাম্পুতেও সারফেক্ট্যান্ট উপাদান থাকে। মাস্ক পরার আগে চশমার কাঁচকে বেবি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে চশমার কাঁচে সামান্য পরিমাণ বেবি শ্যাম্পু লাগিয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে হালকা করে ঘষুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
শেভিং ক্রিম এর মাধ্যমেঃ
আরেকটি সহজ উপায় হল শেভিং ক্রিম। চশমার কাঁচে সামান্য শেভিং ক্রিম লাগাতে পারেন। এরপর শুষ্ক কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে মুছে ফেলুন।
টুথপেস্টঃ
ঘোলাটে চশমা পরিষ্কারের আরেকটি সহজ উপাদান হলো টুথপেস্ট। সামান্য পেস্ট চশমার কাঁচে লাগিয়ে টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষুন। চশমা পরিষ্কার এবং চকচকে হয়ে উঠবে।
ক্লিনারঃ
প্রয়োজনে অ্যান্টি-ফগ ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। চশমার দোকানে এই ক্লিনার পাওয়া যায়। এটির ব্যবহারে চশমা ১-৩ দিন পর্যন্ত ঘোলাটে হবে না।
এছাড়া করোনা ভাইরাসের সম্পুর্ন চিকিৎসা বাসায় থেকে কিভাবে নিবেন তার নির্দেশনা পাবেন এখানে।