'"আমি যেভাবে পড়তাম" পড়ার ক্ষেত্রে অনেক মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বইয়ের প্রতি অনীহা ও বিতৃষ্ণাভাব। যা অনেক সময় বৈরী রূপ ধারণ করে। অনেক মানুষই বই খোলার পর দ্রুত বিরক্তি ও ক্লান্তিতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ করে থাকেন। বিশেষ করে কঠিন ধরণের বইগুলোর ক্ষেত্রে এমনটা বেশি হয়ে থাকে। সেজন্যই বর্তমানে আমরা খুবই হতাশাজনক চিত্র দেখেতে পাচ্ছি। তা হলো, ধর্মীয় বই-পুস্তককে উপেক্ষা করা এবং অনর্থক ও ফালতু গল্পের বই, রঙ-বেরঙের সচ্রি ম্যাগাজিন। নাচ-গান ও খেলাধুলা বিষয়ক পত্রিকার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া। ফলে আমাদের শত্রুরা দম্ভের স্বরে বলে, মুসলিমরা বইটই পড়ে না। পড়লেও বুঝে না। আর বুঝলেও গভীর থেকে অনুধাবন করে না। এ সম্পর্কেই এ বইটি।'
আয়েয আল করনী
ড. আয়েয আল করনী ১৩৭৯ হিজরী মােতাবেক ১৯৫৯ ইং সনে দক্ষিণ সৌদী আরবের করন জেলার আশ-শুরাইহ। নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
অল্প বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন রিয়াদে। উচ্চতর পড়াশুনা করেন প্রাদেশিক শহর আবহায়। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত অধ্যয়নের পরিধি সুবিস্তৃত ও অতুলনীয়।
ড. আয়েয আল করনী এ পর্যন্ত বহু গ্রন্থ। রচনা করেছেন। সেগুলাের মধ্যে আততাফসীরুল মুয়াসার, আল-ফিকহুল মুয়াসসার, আশিক, লা তাহযান। বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য।
দীর্ঘ সাত বছর তিনি ইমাম মুহাম্মাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদীসের উপর অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে দাওয়াত ইলাল্লাহই তাঁর প্রধানতম কাজ।ড. করনী দাওয়াতের উদ্দেশ্যে লেখালেখি, বক্তৃতা-বিবৃতি ও গ্রন্থরচনার পাশাপাশি সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস ও ইউটিউব ইত্যাদিতেও সমানভাবে সক্রিয়। তার বক্তৃতার ক্যাসেটের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।