আমি তপু (হার্ডকভার) - মুহম্মদ জাফর ইকবাল | বইবাজার.কম

আমি তপু (হার্ডকভার)

    4.57 Ratings     7 Reviews

বইবাজার মূল্য : ৳ ২০৮ (২০% ছাড়ে)

মুদ্রিত মূল্য : ৳ ২৬০





WISHLIST


Overall Ratings (7)

Sohag
02/05/2020

আমি তপু মুহম্মদ জাফর ইকবাল আমি তপু কীশোর উপন্যাসটি একটি নিঃসঙ্গ কিশোরের গল্প৷ একটা দূর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ের অস্বাভাবিক ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয় তপু৷ পরিবারের সবাই তার থেকে দূরে সরে যেতে থাকে,পারিবারিক সুযোগ সুবিধা থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়৷ শারীরিক মানুষিক অত্যাচারে তপু ঘরে বাইরে সবার থেকে আলাদা হয়ে থাকতে শুরু করে, স্বীকৃতি পায় বখে যাওয়া ছেলে হিসেবে৷ হঠাৎ একটা বন্ধু এসে তার নিস্বঙ্গতার সঙ্গী হয়৷ তপু নিজের মেধাশক্তি ধীরে ধীরে আবিষ্কার করে৷ একসময় সবাই বুঝতে পারে সে আসলে ফেলনা না৷


Salim
28/04/2020

আমি তপু।।। ।... "আমি তপু " বইটা পরে আমার তিনটি বিষয় খুব ভাল লেগেছে.........যেমন: - 1) প্রিয়াঙ্কার ঈস্বরের দূতের ন্যায় আবির্ভূত হওয়ার!! 2)মায়ের শত অন্যায় অত্যাচার সহ্য করার পরও তার অবাধ্য হয়নি, মার প্রতি বিরক্ত হয় নি বা তার প্রতিবাদ করেনি, সব নিরবে সহ্য করেছে!! 3) গনিত এ যে তার বিশাল প্রতিভা, তা সে নিজেই জানতো না!! গল্পে প্রিয়াঙ্কা চরিএটি যেমন তপুর জীবনটা পাল্টে দিয়েছে, তেমনি গল্পের মোড় ও ঘুরিয়ে দিয়েছে৷ প্রিয়াঙ্কা চরিত্রটি বাস্তবে খুবই কম দেখা যায় বা আদৌও দেখা যায় কিনা সে ব্যাপারেও আমার সন্দেহ আছে!! তবে বাস্তবে দেখা যাক বা না যাক লেখক কিন্তুু চরিত্রটিকে গল্পে অত্যান্ত বাস্তব ও সাবলিল ভাবে উপস্থাপন করেছে ৷ তপুর বাবা মারা যাওয়ায় তার মা মনে করতেন যে তপুর জন্য তার বাবা মারা গিয়েছেন, তাই তপুর উপর তার মার বহু অন্যায়, অত্যাচার করেন কিন্তুু কখনও তার সামান্যতম প্রতিবাদ, বা অবাধ্য হয় নি....... এটা আমাদের নিকট শিক্ষনীয়!! আর আরেকটি বিষয় হল গানিতিক প্রতিভা, তার যে গনিতের অসাধারণ জ্ঞান, সে যে একজন লিটল গনিতবিদ তা সে নিজেই জানতো না, নিজের অজান্তেই সে প্রতিযোগীতায় জটিল অঙ্কের সমাধান করে রেকর্ডের সৃষ্টি করেছে.........!!! সকল প্রকার অবহেলা, প্রতিকুলতা, অন্যায়, অত্যাচার, দুঃক্ষের মাঝে থেকেও নিজেকে সর্বচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়া, তা আবার নিজের অজান্তেই, সেটা বেশ ভাবিয়ে তোলে.....!!! তাই বইটি অসাধারণ একটা বই। বইটি আপনারা সংগ্রহ করুন। বইটা পড়ে ভালো লাগবে।।।।


Md Aashiq
01/04/2019

এ গল্পের মুল চরিত্র হলো তপু।ভালো নাম আরিফুল ইসলাম।বয়স ১৩।সে বি কে সরকারি হাইস্কুলে ক্লাস এইটে পড়ে।তাকে পরিবারের কেউ তেমন সাহায্য করে না।তার মা তাকে দেখলেই রেগে যায়।যদিও এর কারন রয়েছে।তপু কয়েকদিন যাবত তার বাবাকে বলছিল তাকে ব্যাট কিনে দিতে তাই তার বাবা যেদিন তাকে নিয়ে গুলশান মার্কেটে যায় সেদিন তারা এক্সিডেন্ট করে তার বাবা সেখানে সাথে সাথে মারা যায়।এর পর থেকেই তাকে তার মা দেখতেই পারে না কোনো কারন পেলেই মারে।আগে তপুর খারাপ লাগলেও এখন সে এগুলার সাথে অভস্থ হয়ে গেছে তাই সে এখন আর কষ্ট পায় না এসব নিয়ে।অবশ্য সে যে আত্মহত্যা করে নি এর কারন হলো দুলি খালা।দুলি খালা তাদের বাড়িতে কাজ করে।সেই তপুকে সাহায্য করে তার কারনেই তপু বেচে আছে।তপু রান্নাঘরে স্টোর রুমে থাকা শুরু করে।তপু এক সময় অনেক ভালো ছাত্র ছিল কিন্তু এখন সে কোনো রকম পাস করে।তার ধারণা সে এবার আটকা পরবে সে আর পাস করতে পারবে না।তাদের ক্লাসে একজন নতুন ছাত্রী আসে নাম প্রিয়াংকা।সে সবার থেকে অন্য রকম সবার সাথে মিশে।তপুকে সবায় ভয় পেলেও দেখা গেল সে মোটেও ভয় পায় নাএদিকে তাদের বাংলা শিক্ষক তেমন ভালো মানুষনা অনেককে মারে।একদিন দিলিপকে সুযোগ পেয়ে তাকে মারতে গেলে প্রিয়াঙ্কা স্যারকে মানা করে মারতে ফলে দেখা যায়যে তার উপরও শিক্ষক অবেক রেগে যায় তখন তপুও তাকে বাধা দেয়।তপু বাধা দেওয়ার ফলে দেখা গেল সে ঠিকই অনেক ভয় পেয়ে গেল।সে প্রিন্সিপাল ম্যাডামকেকে বলে তপুকে স্কুলথেকে বের করে দিতে।এর মাঝে তপু বাসা থেকে পালাবে বলে ঠিক করে।তাই যখন তাকে প্রিন্সিপাল ম্যাডাম জিজ্ঞেস করে যে স্যার যা বলছে তা ঠিক কিনা তখন তপু ভাবলো পালাবো যখন তখন এত ভয় পেয়ে লাভ নেই ফলে সে সব সত্যি কথা বলে দেয় ম্যাডামকে।এর পরে দেখা যায় তাদেরকে কিছু না বলে ছেড়ে দেয়।এদিকে বাসা থেকে পালানোর জন্য সে কিছু কিছু টাকা জমিয়েছে।তা তার মা ধরে ফেলে এবং অনেক মারে তাকে।তার টাকাও নিয়ে যায়।ফলে সে পালানোর জন্য আরো কিছু সময় বাড়ায়।সে এর পরের বার যখন পালায় তখন তাকে খুজে বের করে প্রিয়াঙ্কা পালানোর আগেই প্রিয়াঙ্কা তার বাসায় গিয়েছিল তখন দুলি খালা সব বলে দেয় প্রিয়াঙ্কাকে।প্রিয়াঙ্কার জন্য তপু আর পালাতে পারে না।প্রিয়াঙ্কা জানে তপু অনেক ভালো অংক পারে তাই তাকে অনেক কষ্ট করে গনিত অলিম্পিয়াড এ পাঠায়।তপু দেখলো অনেকগুলাই সে পারে কিন্তু দেখলো একটা সমস্যা অনেক কঠিন কিন্তু তার কাছে মনে হলো অনেক সোজা তাই সে সেটা দিয়েই করা শুরু করলো সেটা শেষ করে সে যখন অন্য আরেকটা করা শুরু করলো তখন তার খাতা নিয়ে গেল কারন সময় শেষ সে বের হয় মন খারাপ করে কারন সে মাএ একটা করেছে যেখানে অন্যরা ৫-৬টা নিশ্চিত।তাই সে মন খারাপ করে বসে থাকে এই দিগে যখন ফলাফল দিলো তখন তপু অবাক।এই গনিত অলিম্পিয়াড তার জীবন পরিবর্তন করে দেয়।এদিকে তারা প্রিয়াঙ্কাকে সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কার হাত ভাংগে।আবার তপুর মায়ের অবস্থাও খারাপ হতে থাকে।বইটি এক কথায় অসাধাররন।গল্পটা লেখক খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পেরেছেন প্রিয়াঙ্কার কাহিনিগুলো আসলেই অনেক ভালোলাগছে।শেষে তপুর মায়ের কাহিনিও ভালোচলেগেছে।বইটি সবার পড়া উচিত।সবার পড়ার মতো একটা বই।সবাই পড়ে মজা পাবেন এই আমার বিশ্বাস। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_মার্চ_২০১৯


Ridwan Siddik Rohan
31/03/2019

বইয়ের নাম:আমি তপু লেখক:মুহম্মদ জাফর ইকবাল বইয়ের ধরণ:শিশু-কিশোর উপন্যাস মুদ্রিত মূল্য:১৫০ টাকা পৃষ্টা সংখ্যা:১২৪ প্রথম প্রকাশ: একুশে বইমেলা ২০০৫ প্রকাশনী:পার্ল পাবলিকেশন্স প্রচ্ছদ:ধ্রুব এষ তপু ক্লাস এইটে পড়ে।তপুরা মোট তিন ভাইবোন।তপু সবার ছোট।তপুর মা আছে তবে বাবা মারা গেছে।বর্তমানে তপু তার পরিবারের সকলের কাছে অবহেলিত।তপুর মা ও ভাইবোন তপুকে নিজেদের পরিবারের অংশ হিসেবে ধরে না।বিশেষ করে তপুর মা তপুকে দুচোখে দেখতে পারে না তপুর কোনো দোষ না থাকা সত্ত্বেও।এমনকি তপুর মা তপুকে নিজের ছেলে হিসেবে কারো কাছে পরিচয় দেয় না।তবে একসময় তপু ছিল সবার প্রিয়,সবাই তপুকে প্রচন্দ ভালোবাসত।তবে এক দূর্ঘটনার ফলে সব বদলে যায়।এমন কি ঘটেছিল যার ফলে তপুর বর্তমানে এরকম অবস্থা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তপুর পারিবারিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটবে কিনা তা জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। আমার প্রিয় কিশোর-উপন্যাস বইগুলোর মধ্যে সবার উর্ধ্বে এই বইটির স্থান।তপু চরিত্রর সাথে আমার পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবনে কোনো মিল না থাকা সত্ত্বেও বইটি পড়ার সময় একসময় আমি তপুর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করা শুরু করেছিলাম,তপুর কষ্টগুলো আমি অনুভব করতে পারছিলাম।যাদের কিশোর-উপন্যাস পছন্দ তাদের বইটি অবশ্যই পড়া উচিত। ধন্যবাদ ব্যক্তিগত রেটিং-৪.৮/৫ রিদওয়ান সিদ্দিক #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯


Md. Al Faruk
20/03/2019

আমি তপু গল্পের শুরু হয় আরিফুল ইসলাম তপুর নামে একজন কিশোরের নিজ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। এক দুর্ঘটনায় তপু তার বাবাকে হারায় এবং তা মূলতঃ ছেলেটির গোটা জীবনটাকেই উলটপালট করে দেয়। স্বামীর মৃত্যুতে তপুর মা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং স্বামীর মৃত্যুর জন্য নিজের ছেলে তপুকেই দোষারোপ করতে থাকে। ফলে তপুর জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। নিজের মায়ের কাছ থেকেই নিগৃহতার শিকার হতে থাকে সে। মায়ের ভয়ে তপুর বড় ভাই রাজীব এবং বড় বোন ঈশিতাও তপুর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। শুধুমাত্র বাসার কাজের মহিলা দুলি খালাই তপুর প্রতি সহানুভূতিশীল আচরন করে। ক্রমেই এক সময়ের মেধাবী ছাত্র তপুর অবস্থা শোচনীয় রূপ নেয়। নিজের বাড়িতে কাজের ছেলের মত থাকে সে, স্কুলে হয়ে যায় সবচেয়ে খারাপ ছেলে আর রাস্তাঘাটে যাকে দেখলে খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায় বখাটে হিসেবে। এভাবেই যখন তপুর জীবন ক্রমে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছিল তখন আগমন ঘটে প্রিয়াংকা নামের একটি মেয়ের। ক্লাসে নতুন আসা মেয়েটি তপুর বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাতে থাকে। তপু যখন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, প্রিয়াংকাই তাকে ফিরিয়ে আনে। এরপর প্রিয়াংকার সান্নিধ্যে এসে তপু ধীরে ধীরে আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে থাকে। প্রিয়াংকা তাকে সাহায্য করে তার প্রতিভার সঠিক বিকাশ ঘটিয়ে পৃথিবীর কাছে প্রমাণ করতে যে তপু কোন ফেলনা ছেলে নয়, সে আসলে একটা জিনিয়াস। প্রিয়াঙ্কার মাধ্যমে তপু গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেয় এবং দেশের বাঘা-বাঘা গণিতবিদদের তাক লাগিয়ে দেয় জটিল সমস্যার সমাধান করে। স্বয়ং প্রেসিডেন্ট তপুকে স্বর্ণপদক দিলেও পরিবারের সদস্যদের উপর তা কোন প্রভাব ফেলে না। বাড়িতে মায়ের কাছে সে সেই ঘৃণার পাত্রই রয়ে যায়। কিন্তু কাহিনীর শেষ পর্যায়ে এসে আবারো মায়ের সাথে তপুর পুনর্মিলন ঘটে, কিন্তু সে বড় অদ্ভুত এক পরিস্থিতিতে - যা ছিল তপুর জন্যে একই সাথে বড্ড আনন্দের আবার বড্ড দুঃখের। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯


Ashik
18/03/2019

এই বইটা পড়তে পড়তে হাউমাউ করে না হোক, অন্তত নিজেদের অজান্তে চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়েনি, এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া ভার। একটা কিশোর বয়সী ছেলের জীবন কতটা কষ্টের আর তিক্ততার হতে পারে আর জীবনে কত প্রতিকূলতা আসতে পারে প্রিয়জনদের কাছ থেকেই, তা 'আমি তপু' পড়ার আগে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা সেরা কিশোর উপন্যাসগুলোর তালিকা যদি করতে হয়, এবং সেই তালিকা যত ছোটই হোক না কেন তাতে 'আমি তপু'র নাম থাকবেই। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯


YEASIR ARAFAT PEAM
18/03/2019

তপু। নামটা বেশ ছোট। তার জীবনটাও খুব একটা বড় নয়। ক্লাস এইটে পড়ে কেবল। কিন্তু ক্লাস এইটে পড়লেও সে সম্মুখীন হয়েছে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার। ক্লাস ফাইভে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। তার কাছের মানুষগুলো ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকে। ক্লাসের সবচেয়ে ভাল ছেলে থেকে হয়ে যায় সবচেয়ে খারাপ ছেলে।ক্লাসের শিক্ষক, সহপাঠী এমনকি নিজের মা এর কাছেও সে হয়ে যায় পর। এমন সময় তার জীবনে ঘটে ছোট একটি পরিবর্তন। কে জানত এটি তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। জানতে হলে পড়তে হবে পুরো বইটি। । । জাফর ইকবাল স্যারের লেখা অন্যতম সেরা বই এটি। হলফ করে বলতে পারি এই বইটি পড়ার পর চোখের কোণে দুই ফোটা পানি জমবে। যদি ভেবে থাকেন তপুর দুঃখ কষ্টের কথা বলছি তবে ভুল ভাবছেন, বইটি পড়ে আপনি কাঁদবেন সম্পূর্ণ অন্য কারণে। এছাড়াও কখনও যদি মনে হয় এটা আমার দ্বারা হবেনা সেক্ষেত্রে বইটি অনুপ্রেরণা জোগাবে। আশা করি বইটি সবার ভাল লাগবে। ধন্যবাদ। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯


PAYMENT OPTIONS

Copyrights © 2018-2024 BoiBazar.com