দ্বাদশ খন্ড সংখ্যার বৈশিষ্ট্য হলাে এর তিনটি প্রবন্ধই উনিশ শতকের বাংলা নিয়ে রচিত। কিন্তু গত শতকের শেষ দশক থেকে এ বিষয়ে গবেষকদের আগ্রহে ভাটা পড়তে থাকে। এখন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে এ নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে না বলেই চলে। বাংলাদেশে নির্দ্বিধায় বলতে পারি গবেষণা হচ্ছে না। সে আগ্রহের কারণেই এই তিনটি প্রবন্ধ সংগ্রহ করে সংকলিত হলাে। প্রথম প্রবন্ধটি ড. স্বপন বসুর । উনিশ শতকের বাংলা সংবাদ সাময়িকপত্র নিয়ে তার গবেষণা অনন্যসাধারণ। বলা যেতে পারে উনিশ শতকের বাংলা সংবাদ সাময়িকপত্র নিয়ে তার গবেষণাই মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। দ্বাদশ খন্ড বইটি প্রকাশিত হলে
দ্বাদশ খন্ড গ্রন্থ দীর্ঘদিন তিনি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করে অবসর নিয়েছেন। কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর সম্পাদক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিকে সজীব করেছেন । দ্বাদশ খণ্ডে মুর্শিদা বিনতে রহমানের বাঙালি বানিয়া ও তাদের সামাজিক অবস্থান শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান খণ্ডে প্রকাশিত হলাে : ‘ইউরােপীয়-বানিয়া সম্পর্ক। এ প্রবন্ধে বিস্তারিতভাবে দু'পক্ষের সম্পর্ক, বিশেষ করে বানিয়াদের ভূমিকা ও সম্পদ আহরণের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। গত শতকের সত্তর দশকে ইহতেশাম কাজী আমার শিক্ষক ছিলেন। বিনম্র এবং সরল স্বভাবের এই শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে পিএইচডি করতে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ফিরে এসে যােগ দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে। বেশ ক'বছর আগে তিনি পরলােকগমন করেছেন। তিনি কী বিষয়ে
মুনতাসীর মামুন
মুনতাসীর মামুনের জন্ম ১৯৫১ সালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে এম. এ.. পিএইচ. ডি. ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। লেখালেখি করছেন ১৯৬৩ সাল থেকে। ছাত্রজীবনে জড়িত ছিলেন ছাত্র-আন্দোলনে এবং ১৯৬৯ সাল থেকে এ-পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেছেন প্রতিটি সাংস্কৃতিক ও গণআন্দোলনে। স্বাধীন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন সম্পাদক। একই সময়ে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি। তাঁর সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয় ডাকসু’র মুখপত্র ছাত্রবার্তা। এছাড়াও বাংলাদেশ লেখক শিবির ও বাংলাদেশ লেখক ইউনিয়নের ছিলেন তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও যথাক্রমে প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক ও যুগ্ম সম্পাদক। ঢাকা নগর জাদুঘরের তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন তিনিও একজন । এছাড়াও তিনি জড়িত বিভিন্ন একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। বাংলাদেশে লেখালেখির জগতে মুনতাসীর মামুন একটি বিশিষ্ট নাম। সমসাময়িককালে তার মতাে পাঠক নন্দিত লেখক খুব কমই আছে। গল্প, কিশােরসাহিত্য, প্রবন্ধ, গবেষণা, চিত্রসমালােচনা, অনুবাদ ইত্যাদিতে তার স্বচ্ছন্দ বিচরণ ও সেই সাথে রাজনৈতিক ভাষ্যে অর্জন করেছেন বিশেষ খ্যাতি । উল্লিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৭০। বাংলা একাডেমী পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার, ড. হিলালী স্বর্ণপদক পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৩), মার্কেন্টাইল ব্যাংক স্বর্ণপদক ইত্যাদিতে তিনি সম্মানিত। স্ত্রী ফাতেমা মামুন ছিলেন একজন ব্যাংকার ।