একটা ছিল অনেক বড় জংগল। সেই জংগলে ছিল একটা বড় গাব গাছ। সেই গাব গাছে থাকত একটা ছােট ভূত। সেই ভূতটার নাম ছিল বুগাবুগা। বুগাবুগার কোন বন্ধু চিল না, তাই তার খেলতে হত একা একা। একা একা খেলতে কি কারাে ভাল লাগে? বগাবুগারও তাই একটুও ভাল লাগত না। সে সবসময় একজন বন্ধু খুঁজে বেড়াত। কিন্তু ভূতের বন্ধু পাওয়া কি এতই সােজা? একদিন বুগাবুগা তার গাব গাছে পা ঝুলিয়ে বসে আছে হঠাৎ দেখে জংগলের পাশ দিয়ে একটি ছােট ছেলে হেঁটে যাচ্ছে। বুগাবুগা আগে কখনাে কোন মানুষ দেখে নি, তাই প্রথমে সে একটু ভয় পেল। কিন্তু একটা ছােট ছেলেকে দেখে তাে কউ আর ভয় পায় না তাই তার ভয় বেশীক্ষণ থাকল না। বুগাবুগা ছেলেটাকে ভাল করে দেখার জন্যে গাছ থেকে এক লাফ দিয়ে নিচে নেমে এল, তারপর বাতাসে একটা ডিগবাজি দিয়ে সে দাঁড়াল ছেলেটার সামনে। ছেলেটা বুগাবুগাকে দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে গেল, গলা ফাটিয়ে একটা চিতকার দিল সে। তাই শুনে বুগাবুগাও ভীষণ ভয় পেয়ে গেল, সে আরাে জোরে চিতকার দিল। সেটা শুনে ছেলেটা আরাে বেশী ভয় পেয়ে গেল সে আরাে জোরে চিতকার দিল। তারপর দুজনে মিলে চিতকার করতে থাকল। একটু পরে দুজনেই একটু শান্ত হল। তখন ছেলেটা আস্তে আস্তে জিজ্ঞেস করল, "তুমি কে?" বুগাবুগা বলল, "আমার নাম বুগাবুগা।" ছেলেটি খিক খিক করে হেসে বলল, "বুগাবুগা কি কখনা মানুষের নাম হয়?
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
মুহম্মদ জাফর ইকবাল জন্ম : ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২, সিলেট। বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন থেকে। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং বেল কমিউনিকেশান্স রিসার্চে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করে সুদীর্ঘ আঠার বছর পর দেশে ফিরে দীর্ঘদিন অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্ত্রী প্রফেসর ড. ইয়াসমীন হক, পুত্র নাবিল এবং কন্যা ইয়েশিম।