এই উপন্যাসের মূল চরিত্র অপরাজিতা। মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম এই মেয়েটি একটি কল সেন্টারে কাজ করে। পিতৃহীন সংসারে এক ভাই ও অসুস্থ মাকে নিয়ে তার বসবাস। অপরাজিতা একা, তার ওপরে সমাজের কাছে প্রায় অপরিচিত একটি পেশা—সব মিলিয়ে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় তাকে। তবু সে তার পেশায় নিবেদিত, পেশাটিকে ভালোবাসে। জীবনের সব সাধ-আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে পরিবারের কথা ভেবে শুধু নিজের কাজেই মনোযোগী হয় সে। এমন এক পরিস্থিতিতে তার জীবনে আসে মনন—বসের বন্ধু। দুজনের মধ্যে একটি অব্যাখ্যেয় সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা বন্ধুত্বের অধিক। কিন্তু একে কি প্রেম বলা যায়? মননের সংস্পর্শে যে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখতে থাকে অপরাজিতা, তা কি পূর্ণতা পাবে শেষ পর্যন্ত? এ উপন্যাস আমাদের সমাজে সম্পূর্ণ নতুন একটি পেশার এক নারীর ভেতর-বাইরের বাস্তবিক আখ্যান।
রাহিতুল ইসলাম
রাহিতুল ইসলাম একজন বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক, লেখক ও নাট্যকার। বর্তমানে দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে সাংবাদিকতা করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেন। তবে তাঁর আগ্রহের বিষয় মূলত তথ্যপ্রযুক্তি। সংবাদপত্রে লিখে আর কথাসাহিত্য রচনার মধ্য দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন পাঠকদের এই জগতের জানা-অজানা নানা বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত করাতে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১২। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’, ‘চরের মাস্টার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার’, ‘হ্যালো ডাক্তার আপা’, ‘ভালোবাসার হাট-বাজার’ এবং ‘কেমন আছে ফ্রিল্যান্সার নাদিয়া’। ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইটি ফিলিপাইন থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইয়ের জন্য জাতীয় ফ্রিল্যান্সিং অ্যাওয়ার্ড (২০১৯) এবং ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’র জন্য এসবিএসপি সাহিত্য পুরস্কার (২০২১) পেয়েছেন।