চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস
বইবাজার মূল্য : ৳ ২২০ (২০% ছাড়ে)
মুদ্রিত মূল্য : ৳ ২৭৫
প্রকাশনী : অনন্যা
বিষয় : সমকালীন-উপন্যাস , হুমায়ুন মেলা
ফরহাদ একটা ওষুধ কোম্পানির জুনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ। তার একার আয়ের উপর রিটায়ার স্কুল শিক্ষক বাবা, গৃহিণী মা, ছোট ভাই এবং নব্বই বছর বয়স্ক দাদা নির্ভরশীল। ফরহাদের কানাডা প্রবাসী খালাতো ভাই ঢাকাতে সাত কাঠা জমি কিনে টিনশেড বাড়ির করে তাদের থাকতে দিয়েছে।বাড়ি ভাড়া দিতে হয়না তাই মোটামুটি চলে যায়। এক কোমল ভালোবাসার মায়াবতী মেয়ে আসমানী। ফরহাদের মায়াকাব্য। হঠাৎ করেই আসমানী তারে জানায় তার মামা বিদেশ থেকে এসেছে এই শুক্রবার বিয়ে। মোটামুটি সব যখন সব ঠিকঠাক তখন তার চাকরি চলে এবং আসমানী হয়ে পড়ে অসুস্থ। তবুও আসমানীর একান্ত আগ্রহে পুনরায় বিয়ের দিন ঠিক হয়। কিন্তু বিয়ের দিন সকালে ফরহাদের দাদা মারা যাওয়ায় বিয়েটা আর হয়না। ফরহাদের এতদিনের বাস করা বাড়িটা ছেড়ে দিতে হলো কারন তার খালাতো ভাই এই জায়গাটা ডেভেলপার এর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।তারা এমাসেই দখল নিবে। নিরুপায় ফরহাদ বাবা- মাকে বোনের কাছে রেখে মেসে থাকে। ওদিকে আসমানির মেডিকেল রিপোর্টে ভয়াবহ অসূখ ধরা পড়ে তাকে চিকিৎসার জন্য সিংগাপুরে নেয়া হয়। মানুষের কষ্টের কথা কাউকে বলা লাগে। তাই বুঝি আসমানীর মত দেখতে নিশি কন্যার কাছে গিয়ে বলে আপনি দেখতে আমার খুব প্রিয় একজনের মত। তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। বৃষ্টি ধারায় সাথে মিশে যায় অশ্রু জল। সবসময়ই বলা হয় হুমায়ূন আহমেদ মধ্যবৃত্তদের কথা ভালো লিখেন।এ উপন্যাস তার ব্যতিক্রম নয়। অসুস্থ আসমানীর জন্য যত না কষ্ট লেগেছে তার থেকে বেশী ছুঁয়ে গেছে ফরহাদের কষ্ট। জীবন কেন যে এমন হয়!!