দলের নাম ব্ল্যাক ড্রাগন
টিটন,চঞ্চল,অনু ও রাতুল চারজনই খুবই ভালো বন্ধু।সবকিছুই এক সাথে করে তারা।স্কুল বন্ধ তাই তারা প্লান করে কি কি করবে।ছুটি ভালো ভাবে কাটানোর জন্য তারা একটি দল তৈরি করলো।দলের নাম কি হবে সে নিয়ে তারা অনেকক্ষন ঝগড়ায় করে।কারন সবাই যার যার পছন্দের নাম রাখতে চায়।শেষে রাতুলের চালাকিতে তার পছন্দের নাম রাখা হয়।দলের নাম রাখা হয় ব্যাক ড্রাগন।তার চালাকি কেউ ধরতে পারে না।ফলে তার পছন্দের নামই রাখা হয়।যদিও এই নাম নিয়ে অন্যরা কেউই খুশি না।এদিকে মিঠুদের বাসার সামনে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে।তারা ভাবে কেউ কি তাদের বয়সের আছে কিনা।তারা ঠিক করলো বিকালে এসে খোজ নিবে কেউ আছে কিনা।তারা তাদের আস্তানা ঠিক করলো মিশকাত মঞ্জিলে।যদিও এই নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক কিছু হয়।কিন্তু রহস্য পাওয়ায় সবাই রাজি হয়ে যায়।মিঠুদের বাসার সামনে চারজন যায় যদি কোন ছেলে পাওয়া যায় তাদের বয়সি।তারা গিয়ে জানতে চাইলো যে তাদের বয়সি কোন ছেলে-টেলে আছে কিনা।মহিলা ভাবলো বলেছে ছেলে-মেয়ে।মহিলা খুশি হয়ে তার মেয়েকে তাদের সাথে পাঠিয়ে দেয়।চারজন পরে যে ঝামেলায়।তারা জানতে চেয়েছে মেয়ে আছে কিনা কিন্তু তারা পেল মেয়ে।যা সবার জন্যই দুঃখজনক।মেয়েটিকে তারা দলে নিতে চায় না কিন্তু সে বলে যে সে তাদের সাথে চিনি-জোকের মতো লেগে থাকবে।এই দিকে রাতুলের বোন মিথিলা ব্যাক ড্রাগনের কথা জেনে যায়।সে বলে তাকে দলে নিলে সে এবিষয়ে কাউকে বলবে না।কিন্তু রাতুল তাকে নিবে না বলে দেয়।এদিকে চঞ্চল মিশকাত মঞ্জিলের রহস্য বের করার জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন তা বানাতে থাকে।এদিকে মিশকাত মঞ্জিল নিয়ে কেইস চলতে থাকে।রায় হয়।যারা জিতে যায় তারা মার্কেট বানাবে বলে ঠিক করে।এই খবর পাওয়ার পর তারা তাদের কাজ আগেই করে ফেলবে বলে ঠিক করে।সেখানে গিয়ে অনেক কিছু দেখে তারা সেখান থেকে বের হয়ে দেখে দুইটা লোক এর আশে পাশে কি যেন দেখছে।তারা মটর সাইকেল এ বসে ছিল।তারা এর পরে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপএ নিয়ে আসে রহস্য বের করতে।সেখানে গিয়ে তারা আবিষ্কার করলো সেখানে একটা গোপন সিড়ি রয়েছে।তারা সে সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে পরে।তাদের সাথে সেখানে টুনি ও মিথিলাও যোগ করে।তখন সবাই মিলে রহস্য বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়।এরা এর আগে যে দুইজনকে আশেপাশে ঘুরতে দেখেছিল তাদেরকেও তারা সেখানে আবিষ্কার করে।ফলে সেখানে শুরু হয় আরেক ঝামেলা।সে সমস্যা থেকে বের হওয়ার জন্য তখন চেষ্টা করে যায় ছয়জন মিলে।গল্পটা কিশোর উপন্যাস হলেও সবার ভালো লাগার মতো একটা বই।সবাই খুব আগ্রহ নিয়েই পড়বে।লেখক যেভাবে সবকিছু উপস্থাপন করেছে যে আগ্রহ কাজ করবেই।গল্পটা এক কথায় অসাধারণ।টুনি ও মিথিলার কাহিনীও অনেক মজা লেগেছে।সবার পড়ার মতো একটা বই।সবার ভালো লাগবে এই আমার বিশ্বাস। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_মার্চ_২০১৯