কবি আহসান হাবীবের জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি, বরিশাল জেলার (তৎকালীন) পিরােজপুর মহকুমার শঙ্করপাশা গ্রামে। পিতা হামিজউদ্দিন হাওলাদার, মাতা জমিলা খাতুন। প্রবেশিকা পরীক্ষার পর কলেজে ভর্তি। কিছুটা পিতার সঙ্গে মনােমালিন্য, বাকিটা কবি হওয়ার বাসনা- এই দুইয়ের মিলিত কারণে লেখাপড়ায় ইস্তফা দিয়ে কলকাতা পাড়ি জমানাে, সেটা ১৯৩৬ সালের শেষ দিকে। এরপর আর কখনাে প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যা অর্জনের চেষ্টা করেননি। ১৯৪৭ সালের ২১ জুন বিয়ে স্ত্রী বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া নিবাসী মহসীন আলী মিয়ার কন্যা খাতুন সুফিয়া। দুই কন্যা, কেয়া চৌধুরী ও জোহরা নাসরীন এবং দুই পুত্র, মঈনুল আহসান সাবের ও মনজুরুল আহসান জাবের। পেশা প্রথম থেকেই সাংবাদিকতা। কিছুদিন আকাশবাণী কলকাতায় কাজ করেছেন, ১৯৫০-এ ঢাকা ফিরে আসার পর কিছুদিন ফ্রাঙ্কলিন প্রােগ্রামসে। ১৯৬৪ তে যােগ দেন দৈনিক পাকিস্তান (স্বাধীনতার পর দৈনিক বাংলা)-এ মৃত্যু পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে। সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে এ দেশে তার খ্যাতি কিংবদন্তী তুল্য। কবিতার বই আটটি রাত্রিশেষ (১৯৪৮), ছায়াহরিণ (১৯৬২), সারা দুপুর (১৯৬৪), আশায় বসতি (১৯৭৪), মেঘ বলেছে চৈত্রে যাবাে (১৯৭৬), দু'হাতে দুই আদিম পাথর (১৯৮০), প্রেমের কবিতা (১৯৮১), বিদীর্ণ দর্পনে মুখ (১৯৮৫) এ ছাড়া লিখেছেন বড়দের উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ। ছােটদের জন্য লিখেছেন অনুবাদ করেছেন অনেক কিছু আছে সম্পাদনা। সব মিলিয়ে বইয়ের সংখ্যা ২৫টির মতাে। স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কার সহ বাংলাদেশের সব উল্লেখযােগ্য পুরস্কার পেয়েছেন। মুত্যু ১৯৮৫ সালের ১০ জুলাই।