ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ মারিও পুজো ১৯২০ সালে ম্যানহাটনেরহেলস কিচেন’এ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মা ইতালির নেপলস থেকে ইমিগ্রান্ট হয়ে আমেরিকাতে এসেছিলেন। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করার পর পুজো দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় আমেরিকান এয়ার ফোর্সে যোগ দেন। মারিও পুজো দশটি চিত্র নাট্যেও রচয়িতা, যার মদ্যে সুপা্র ম্যান এবং সুপার ম্যান-২ সহ গডফাদারের দুটি পর্ব রয়েছে। গডফাদারের চিত্রনাট্যের জন্য দু’বার অস্কার পেয়েছিন তিনি। ৭৮ বৎসর বয়সে ১৯৯৯ সালে পুজো’র মৃত্যু হয়।
দূর্বল যখন আদালতের সুবিচার পায় না তখন হাজির হয় এক গোপন বিচারকের কাছে। রাজনীতিবিদরা ক্ষমতার স্বাদ নিতে আর ব্যবসায়ীরা সাহায্যের জন্যে ছুটে যান তারই কাছে। নিজেই নিজের জগতে একছত্র অধিপতি তিনি। বন্ধুর জন্যে জীবন বিপন্ন করতে পিছ পা হন না, শত্রুর কাছে ভয়ঙ্কর এক বিভীষিকা। তিনি বিশ্বাস করেন প্রতিটি মানুষের একটাই নিয়তি থাকে আর সেটা তৈরি হয় ঘটনাচক্রে। সমাজের ভেতর সমাজ আর রাষ্ট্রের ভেতর রাষ্ট্রের যে জগৎ সেই জগতের শক্তিকেন্দ্রে ব’সে সবার অলক্ষ্যে কলকাঠি নাড়েন গডফাদার। মূল উপন্যাসের পূর্ণাঙ্গ এবং বিশ্বস্ত অনুবাদ।
মারিও পূজো
মারিও পুজো ১৯২০ সালের ১৫ অক্টোবর দরিদ্র এক সিসিলিয় ইমিগ্রান্ট পরিবারে জন্ম। গ্র্যাজুয়েশন করেন নিউইয়র্ক সিটি কলেজ থেকে । বেশির ভাগ বইতে উঠে আসে নিজস্ব সংস্কৃতি। মার্কিন বিমানবাহিনীতে যােগ দিয়ে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে এশিয়ায় এবং জার্মানিতে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৫ সালে প্রথম বই দ্য ডার্ক এরিনা প্রকাশিত হয়। সবচেয়ে বিখ্যাত বই ‘দ্য গডফাদার’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে । পরে চলচ্চিত্রায়িত হয় বইটি। শেষ বই ‘ওমের্তা’ । পুজো মারা যান ১৯৯৯ সালের ২ জুলাই।