বিকেল শেষ হয়ে গেছে, এখনও সন্ধে নামেনি । বিশ্বেশ্বর পণ্ডিত কাজলা-দিঘিতে নেমে কানের ফুটো দুটো আঙুল দিয়ে চেপে পর পর কয়েকটা ডুব দিলেন। তারপর উঠে এলেন তাড়াতাড়ি। অন্যদিন বিশ্বেশ্বর পণ্ডিত সাঁতার কেটে একবার দিঘিটা এপার-ওপার করেন। কিন্তু আজ বেশ শীত, বেশিক্ষণ জলে থাকা যায় না । ঘাটে উঠে এসে তিনি আকাশের দিকে দু হাত জোড় করে প্ৰণাম জানালেন। আকাশের পশ্চিম দিকে যেন আগুন ছড়িয়ে গেছে, মহাসমারোহে অস্ত যাচ্ছেন সূর্যদেব। পাখিরা ঝাঁক বেঁধে ফিরছে, দূরের কোনও-কোনও বাড়ি থেকে ভেসে আসছে শাঁখের আওয়াজ। বিশ্বেশ্বর পণ্ডিত ভিজে কাপড়েই ঘাটের পৈঠায় বসে পৈতেটি ডান হাতে ধরে চোখ বুজে। সন্ধ্যা-আহ্নিক করতে বসলেন। বিশ্বেশ্বর পণ্ডিত খুব সুপুরুষ, ঘিয়ের মতন গায়ের রং, ছা’ ফুটের বেশি লম্বা। দাড়ি-গোঁফ নেই, মাথার চুলও নেই, মাথার মাঝখানে শুধু একগোছা চুলের টিকি।তাঁর বয়েস সাতাশ বছর। আহিৃক শেষ হবার পর বিশ্বেশ্বর পণ্ডিত শুনতে পেলেন…
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
একজন বাঙালি পাঠক হয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে এড়িয়ে যাওয়া ভীষণ শক্ত। প্রথম আলো থেকে নীরা, কবিতা থেকে গল্প,উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, দুহাতে লিখেছেন।কেবল লিখেছেন বললে ভুল হবে! লিখেছেন, আলোচিত হয়েছেন,সমালোচিত হয়েছেন কিন্তু অসংখ্য পাঠকের হৃদয়ে থেকেছেন। অসংখ্য পাঠক তাকে তুলে নেয়, পাঠ করে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষার জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন।
জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪, ফরিদপুর জেলা
মারা গেছেন: ২৩ অক্টোবর, ২০১২, কলকাতা, ভারত
স্বামী বা স্ত্রী: স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় (বিবাহ. ১৯৬৭–২০১২)
সন্তান: সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: আনন্দ পুরস্কার (১৯৭২, ১৯৮৯); সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৫)
কুইজ: সুনীলের লেখা প্রথম বই কোনটি?