জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অনেকদিন ধরে গভীর অভিনিবেশ সহকারে কাজ করছেন ঢাকা বিষয়ক গবেষক ও প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক আনিস আহামেদ। পুরান ঢাকার আদি মানুষের যথার্থ উত্তরাধিকার তিনি। মুক্তবুদ্ধির চর্চার প্রতি তার অনুরাগ তাে আছেই; উপরন্তু স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সুস্থ ধারার শিল্প-সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সঙ্গেও নিজেকে রেখেছেন সম্পৃক্ত করে। জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু শেখ হাসিনা' শিরােনামে তিনি নাতিদীর্ঘ গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধু জীবনের নানা অনালােকিত অধ্যায় নিয়ে। তার পাণ্ডুলিপিটির আদ্যোপান্ত পাঠ করে আমার মনে হয়েছে তিনি তার লেখায় কোথাও কোনাে তথ্যগত ঘাটতি রাখেন নি। কালের ইতিহাসের নানা ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত ও প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে তিনি একজন গবেষক, যেমন নির্মোহ নিরীক্ষণ, বিশ্লেষণ ও পর্যালােচনা করে প্রকৃত সত্য উঘাটনে নিবেদিত থাকেন; আনিস আহামেদও সেরকম ভূমিকায় নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন। পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য প্রকৃত ইতিহাস তুলে আনার কাজটিও তিনি সমান দক্ষতার সঙ্গে সমাপ্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযােগ্য উত্তরসূরি আজকের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দিনবদলের সনদের মাধ্যমে কীভাবে একটি উন্নয়নশীল দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করেছেন তার একটি ধারণা পাওয়া যাবে এই গবেষণা গ্রন্থে। এর সাথে মিলবে লেখক আনিস আহামেদ-এর রাজনৈতিক চিন্তাধারা।
আনিস আহমেদ
কবি আনিস আহমেদের জন্ম ১৯৫৬ সালের ৬ই মার্চ ঢাকায়। তার পৈত্রিক নিবাস কুমিল্লায়। তিনি ইংরেজি সাহিত্য ও ভাষা বিষয়ে ঢাকায় এবং ইংল্যান্ডে স্নাতক ও স্নাকোত্তর পর্যায়ে পড়া শােনা করেছেন। ঢাকার নটরডেম কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের সূচনা। পরে চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত। ১৯৯৪ সালে বেতার সাংবাদিক হিসেবে যােগ দেন বিবিসি লন্ডনে এবং ২০০১ সাল থেকে একই পদে কর্মরত রয়েছেন ভয়েস অফ আমেরিকা ওয়াশিংটনে। ২০১০ সালে তিনি বেতার সম্প্রচারক হিসেবে ভয়েস অফ আমেরিকায়। স্বর্ণ পদক লাভ করেন। লন্ডনে কিছুদিন ড উইলিয়াম রাদিচের সঙ্গে স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজের বাংলা। বিভাগে, এবং একই প্রতিষ্ঠানের ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে বাংলা পড়িয়েছেন। খুব ছােটবেলা থেকে বেতার ও টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছেন। আনিস আহমেদ স্বনামে ও বেনামে বাংলাদেশের এবং প্রবাসের পত্রপত্রিকায় অসংখ্য নিবন্ধ লিখেছেন।