খতমে তারাবীর হাদিয়া দেওয়া-নেওয়া জায়েয হওয়া প্রসঙ্গে

দুআ ও অভিমত শায়খুল হাদীস যাকারিয়া কান্দলবী (রহ.), মুফতী মাহমুদুল হাসান গাঙ্গুহী (রহ.) ও শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতী সায়্যিদ আহমাদ পালনপুরী (দা.বা.) তাঁদের হাতে গড়া সুযােগ্য ছাত্র, সভাপতি ফতােয়া বাের্ড ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মােমেনশাহী, জামিয়া ইসলামিয়া মােমেনশাহীর প্রধান মুফতী ও শায়খুল হাদীস আয় আল্লামা মুফতী ফজলুল হক (দা.বা.)।মাহে রমযানে খতমে তারাবীর পর এ উপমহাদেশে হাফেয সাহেবদেরকে হাদিয়া হিসাবে টাকা পয়সা বা কাপড় চোপড় ইত্যাদি দেওয়ার প্রচলন আছে। প্রায় অধিকাংশ মসজিদে হাদিয়া দেওয়া হয়। যদি পূর্বে শর্ত না করে থাকে তাহলে কিভাবে হাফেযদেরকে তাদের পূর্ণ এক মাসের মেহনতের মূল্যায়ন হিসাবে হাদিয়া দেওয়া যায়, নাকি আদৌ দেওয়া জায়েয নাই এই বিষয়ে উর্দু বিভিন্ন ফতােয়ার কিতাবে বিভিন্ন মতামত বর্ণিত আছে। আমার উস্তাদে মুহতারাম কুদওয়াতুল আতকিয়া শায়খুল হাদীস যাকারিয়া রহ. বলতেন, উলামাদের মধ্যে কোনাে মাসআলার ব্যাপারে মতবিরােধ দেখা দিলে উম্মতের জন্য আমল করা সহজ হয়ে যায়। (আল এ'তেদাল ফী মারাতিবির রিজাল) অনেক বড় বড় আয়্যিম্মা উলামাদের মতে তিলাওয়াতে কুরআনের বিনিময়ে উজরত গ্রহণ করা জয়েয আছে। তাদের মতে খতমে তারাবীর পর হাদিয়া দেওয়া ও গ্রহণ করা জায়েয হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট অবকাশ আছে। যে সকল আয়্যিম্মা ও উলামাগণ কেরাআতে কুরআনের বিনিময়ে হাদিয়া গ্রহণ করা নাজায়েয বলেছেন তাদের অনেকেই শর্তবিহীনভাবে হাদিয়া দেওয়াকে জায়েয বলেছেন। আমাদের আকাবিরে দেওবন্দের অনেকেই শর্তবিহীনভাবে খতমে তারাবীর পর হাদিয়া হিসাবে হাফেযদেরকে কিছু দেওয়া ও তা গ্রহণ করা জায়েয বলেছেন। শায়খুল আরব ওয়াল আজম সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. মুফতী মুহাম্মাদ আলী মােঙ্গেরী, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ দেহলভী রহ. আমার উস্তাদে মুহতারাম মুফতী সাঈদ আহমদ পালনপুরী দা. বা. তাঁর তােহফাতুল আলমায়ী শরহে তিরমিযীর কয়েক জায়গায় তারাবীর হাদিয়া বিষয়ে আলােচনা করে