মুশতাক আহমেদ-এর জন্ম চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনাতে। বাবা ছিলেন কেরু এন্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক। পড়াশুনায় হাতেখড়ি কেরু এন্ড কোম্পানি হাই স্কুলে। ১৯৮০ সালে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হন। জীবনের জন্য তৈরি হওয়ার শিক্ষা এই ক্যাডেট কলেজেই পেয়েছেন। ১৯৮৯ সালে চাকরি জীবন শুরু করেন চা বাগানে। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যের সিলসাে কলেজে বৃত্তি নিয়ে পড়তে যান ১৯৯২ সালে। কোর্সের অংশ হিসাবে ঘুরে দেখেন উত্তর-পূর্ব ফ্রান্সের বিভিন্ন খামার ও কৃষি কার্যক্রম। দেশে ফিরে যােগ দেন ‘ইউএনএইচসিআর’-এ; যেখানে তিনি রােহিঙ্গা রিফিউজির প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করেন। জাকারিয়া স্বপনের ইন্টারনেট নিয়ে একটা লেখা পড়ে সিদ্ধান্ত নিলেন উদ্যোক্তা হবেন, চাকরি ছেড়ে চলে এলেন ঢাকায়- সেটা ১৯৯৬ সাল।
শুরু করলেন দূর পাল্লার কর্ডলেস টেলিফোনের ব্যবসা। তারপর ১৯৯৮ সালে শুরু করেন ইন্টারনেট ফ্যাক্স সেবা আর নেট টু ফোন নামের একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক টেলিফোন সেবা কোম্পানি। ২০০১ সালে আবার চাকরি শুরু করেন বােট ম্যানেজার হিসাবে একটি ট্যুর অপারেটিং কোম্পানিতে। সুযােগ হয় খুব কাছে থেকে সুন্দরবনকে দেখার। এক বছরের মাথায় চাকরি ছেড়ে ঠিক করলেন নিজেই কিছু করবেন। সেই কিছুটাই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রথম বাণিজ্যিক কুমির খামার। সহজ ভাষায় এটাকে কুমির চাষ বলা যেতে পারে। লেখক নিজেকে কুমির চাষি হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বােধ করেন। ২০০১ সালের জুলাই মাস খামার স্থাপন থেকে শুরু করে, ২০১০ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতাে কুমির রপ্তানি পর্যন্ত অনেক চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতার মুখােমুখি হতে হয়েছে কুমির চাষিকে। নিজের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি থেকে লেখা আত্মজৈবনিক প্রথম বই কুমির চাষির ডায়েরি।