

মাযহাব : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ (পেপারব্যাক)
।।। মাযহাব - অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।।। বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিমদের মাঝে অনৈক্যের মূল যে কারণগুলো রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও বড় কারণ হলো দুটি। ফেরকা বা তরিকাগত সমস্যা মাযহাব যদিও এটা আমার নিজস্ব চিন্তাধারা। মাযহাবী দ্বন্দ নিয়ে এ পর্যন্ত বহু বই লিখা হয়েছে। মাযহাবের পক্ষে একদল কলম ধরেছে তো অন্যদল মাযহাবের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে ছেড়েছেন। বলব যে কোন একটা মাযহাব নামা ওয়াজীব। যা সত্যিই দুঃখজনক। ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস এর “মাযহাব- অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত সত্যিই আমার এই বিষয়ে জ্ঞানক্ষুধা অনেকটাই নিবৃত করেছে। বিশেষভাবে মাযহাবী বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে রেখে অন্যদেরকেও এ থেকে দূরে রাখার প্রয়াস চালাতে পারব বলে বিশ্বাস জন্মেছে এই বইটি পড়ার পর। এই বইয়ে আপনি পাবেন- কুরআনের আইন প্রণয়ন পদ্ধতি, বিষয়বস্তু, ইসলামী আইনের উৎস, ব্যক্তি পর্যায়ে ইজতিহাদ, মাযহাব নির্মান, মাযহাবের বিকাশ, মতপার্থক্যের কারণ, মাযহাব সুসংহত করা, কিছু সমস্যা, অন্ধ তাকলীদ সংক্রান্ত আলোচনা মতপার্থক্য নিয়ে আলোচনা সর্বোপরি একটি সুন্দর উপাদেয়। আপনি পাবেন নয়টি মাযহাব নিয়ে ব্যপক আলোচনা। মাযহাবগুলো - - - ১) হানাফী ২) আওযাঈ ৩) মালিকি ৪) যাইদি ৫) লাইসি সাওরী ৬) শাফিঈ ৭) হানবালি ৮) জাহিরি ৯) জারীরি বইটি পড়লে তাদের ইলমী সাধনা সম্পর্কে ধারণা পাবেন। ধারণা পাবেন কিভাবে মাযহাবগুলোর তৈরি হয়েছে। কিভাবে কয়েকটি মাযহাব বিলুপ্ত হয়েছে। বিশেষভাবে জানতে পারবেন ইমামগণের তাকওয়া কত উঁচু পর্যায়ের ছিল। কত অহংকারমুক্ত ছিল তাদের জীবন। মাযাহবগুলোর দুর্বলতা ও দালিলিক ভিত্তি কিভাবে গ্রহণ করেছে সে বিষয়েও জানতে পারবেন। কিভাবে একটি সহিহ হাদীসকে তারা অনুসরণ করেছে জানতে পারবেন। কোন অঞ্চলে কোন মাযহাবের বেশি অনুসারী রয়েছে তাও জানতে পারবেন। কিভাবে ইজমা ও কিয়াস তথা ইজতিহাদের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে জানতে পারবেন। রাষ্ট্রীয় সম্মান ও চাকুরী তাদের জ্ঞান সাধনা মাযহাবের আবির্ভাবের এবং তাদের মতপার্থক্যের অন্তর্নিহিত মূল কারণ আলোকপাত করা হয়েছে। মাযহাব যাদের জন্য এক ধাঁধার বিষয়, বইটির এই দিকটি তাদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় হবে নিঃসন্দেহে। ফিকহকেন্দ্রিক মতপার্থক্যের ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দিক নিয়ে আলোচনা করা হলেও বইটির মূল বার্তা মুসলিম উম্মাহর একত্রীতকরণের প্রস্তাবনা। “বইটি যে কারণে কৌতুহলের দাবিদার সেটা হচ্ছে লেখক মাযহাব সম্পর্কে যেসব মর্মভেদী গভীর প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন… মুসলিমদের মধ্যে আত্মসমালোচনার বিষয়টি অনেক দিন ধরেই হারিয়ে গিয়েছিল। সেদিন থেকে বইটি এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ. “বইটিতে লেখক বিষয়বস্তু এত আকর্ষণীয় ও সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের জানা নেই যে, ফিক়হ শাস্ত্রে এই মাযহাবের ইমামদের ভূমিকা কতখানি! তাঁরা মুসলিম উম্মাহ্র কল্যাণ ছাড়া অকল্যাণ চাননি কখনো। তারা চাননি যে, তাদের মাযহাবকে কেন্দ্র করে এধরনের বিভেদের সৃষ্টি হোক। তাহলে কেন আজ মাযহাব কেন্দ্রিক দলাদলি? মুসলিমদের মধ্যে কেন এত বিভেদ? এর সমাধান কী? কীভাবে আবার মুসলিম উম্মাহ্র একত্রীকরণ সম্ভব? বিশ্ব মুসলিম ঐক্য সাধনের লক্ষ্যে সবাই মিলে কেবল একটি মাযহাব অনুসরণ করব; নাকি সবকটি মাযহাবকে প্রত্যাখ্যান করব? এই বিষয়গুলো অত্যন্ত চমৎকারভাবে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে ড. বিলাল ফিলিপসের এর ‘মাজহাব: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ বইটিতে। এটি এমন একটি বই যা প্রতিটি মুসলিমের পড়া উচিত যেন তার মধ্যে কোনো ধরনের মাযহাবকেন্দ্রিক গোঁড়ামি না থাকে। আমরা যদি বিষয়টিকে বুঝে নিয়ে নিজেদেরকে সংশোধন করতে পারি, তখন মুসলিম ঐক্যকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়ে উম্মাহ্র বৃহত্তর স্বার্থ অর্জনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে, তাই ইসলামের সঠিক পথ পাওয়ার জন্য এই বইটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে নতুন পাঠকদের জন্য,,,,
SIMILAR BOOKS
