ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ মানুষটি অবাক হয়ে তিনজনের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং মনে হলো হঠাৎ এই প্রথমবার পুরো ব্যাপারটি খানিক অনুমান করতে পারল। তার চোখে-মুখে হঠাৎ আতংক এসে ভর করতে থাকে। মানুষটির মুখের আতংটুকু যদিও বদি খুব উপভোগ করল, ব্যাপারটি এখন খুব সহজ হয়ে যাবে। সে আরও সহজ করে দেবার জন্যে বলল, “বুঝেছি, এই মক্কেল সোজা কথা সোজা ভাষায় বুঝে না। গাড়ির দরজা খুলে এর গার্লফ্রেন্ডটারে নামা। মাজরাতে মাইয়ালোক নিয়ে রঙ-তামাশা করে মানুষ খুন করে ফেলবে-একটা কী মগের মুল্লুক?” বদি মানুষটার মুখের কাছে মুখ নিয়ে বলল, “মুখে মদের গন্ধ! মদ খেয়ে গাড়ি চালান? সাথে প্রস্টিটিউট?” “কী কী বলছেন আপনি?” মানুষটি কাঁপা গলায় বলল, “আমার স্ত্রী। আমি কখনো ড্রিংক করি না-” বদি কথার মাঝখানে থামিয়ে দিয়ে বলল, “সেইটা এলাকার মানুষকে আপনি বোঝাবেন।তাঁর যখন খবর পাবে-” সূচীপত্র মদীনার জন্য শাড়ি মিলির মায়ের বিয়ে খুন ও খুনি বিষয়ক মাহতাব আলীর খোঁজে বৃষ্টি সংকোচ মধ্যরাত্রিতে তিনজন দুর্ভাগা তরুণ
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
মুহম্মদ জাফর ইকবাল জন্ম : ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২, সিলেট। বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন থেকে। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং বেল কমিউনিকেশান্স রিসার্চে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করে সুদীর্ঘ আঠার বছর পর দেশে ফিরে দীর্ঘদিন অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্ত্রী প্রফেসর ড. ইয়াসমীন হক, পুত্র নাবিল এবং কন্যা ইয়েশিম।