ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ আকবর স্যার একা থাকেন, একবেলা খান। তাও হোটেলে খান। রাতে খান না। এটা জেনে একদিন সঞ্জু রাতে স্যারের খাওয়ার টেবিলে দেয়াল টপকে ভাত-তরকারি দিয়ে এল, স্যারকে না জানিয়ে। কিন্তু স্যার টের পেয়ে গেলেন, রাগলেনও ভীষণ। বলাই বাহুল্য শাস্তিটা দিলেন স্কুলে এবং হুঁশিয়ারি করে দিলেন। এ রকম করলে শাস্তি কিন্তু চলতেই থাকবে। তারপরের কাহিনী তো সবাই জানে। সঞ্জুর শাস্তি চলতেই থাকছিল। মাঝখানে ফারুক ঢুকে... -তাহলে স্যার এখন কী হবে? সাহস করে মুহবি বলে বসে। -নাহ্ এখন আর শাস্তি না্ সব শাস্তি বন্ধ। তা ছাড়া .. স্যার থামেন। -তা ছাড়া? -তা ছাড়া সঞ্জুর মা’টা এত ভালো রাঁধেন যে কী বলব? ..এই বুড়ো বয়সে ভাতের স্বাদটা মুখে লেগে থাকে রে...
ভূমিকা ছোটদের জন্য ছয়টা ভিন্ন স্বাদের গল্প। একেক গল্পের একেক মেজাজ। লিখতে গিয়ে আমার ভালো লাগছে। তাই ভাবছি হয়তো ছোটদেরও ভালো লাগবে। সেই যে এক বিখ্যাত কবির ভাষায় একটু অন্য রকম করে বলতে হয়.. আমার ভিতরও তো বাস করছে একজন ছোট্র কেউ, সেই ছোটবেলার! তাই না? সবাইকে মহান একুশের শুভেচ্ছ। আহসান হাবীব পল্লবী, ঢাকা।
আহসান হাবীবের জন্ম ১৫ নভেম্বর ১৯৫৭, সিলেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগােলে মাস্টার্স করে জীবনের প্রথম চাকরি ব্যাংকে। তারপর হঠাৎ পেশা বদল। পেশা হিসেবে বেছে নিলেন কার্টুন। দেশের একমাত্র স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’-এর সম্পাদক ও প্রকাশক... ত্রিশ বছর ধরে। ম্যাগাজিন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে যেন তার ভালাে লাগে। অনেক পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি পত্রিকা হল- কিশাের পত্রিকা ‘দুরন্ত’ ও সায়েন্স ফিকশন ম্যাগাজিন ‘ট্রাভেল এন্ড ফ্যাশন। কার্টুন আঁকার পাশাপাশি জোকস তাঁর প্রিয় বিষয়। বিষয়টিকে তিনি প্রায় কুটিরশিল্প পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিখ্যাত সেই স্প্যানিস দার্শনিকের মতাে তিনিও মনে করেন যে দিনটা হাসা গেল না সেই দিনটা নিদারুণ ভাবেই ব্যর্থ!'
জোকস ছাড়া রম্য রচনায়ও তিনি পারদর্শী। এই লেখকের বর্তমান বয়স ৫৫। শিক্ষিকা স্ত্রী আফরােজা আমিন আর একমাত্র মেয়ে শবনম আহসানকে নিয়ে তার নিজস্ব জগৎ