“নীলু হত্যার হত্যারহস্য” বইয়ের ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ কথা: কে এই নীলু হাজরা ? কী রহস্য তার হত্যাকাণ্ডের পিছনে ? এমন হত্যা তো কতই ঘটে—“বোমার আঘাতে যুবকের মৃত্যু প্রাত্যহিক সংবাদপত্রের শিরনামায় যা কিনা চোখ-সওয়া খবর। না, নীলু হাজরার মৃত্যুকে ঠিক সেই পযায়ে ফেলা যায় না । মরে গিয়েও যারা প্রবলভাবে বেঁচে থাকে, বেঁচে থাকে অন্য কোথাও, অন্য কোনও অস্তিত্বের অন্তরালে-নিয়ন্ত্রিত করে জীবন ও জীবিত মানুষের প্রতিটি মুহূৰ্তকে, নীলু হাজরা তাদেরই একজন। ফোটা সরিয়েও তাই সরানো যায় না। তাকে, প্রতিহত করা যায় না তার অমোঘ উপস্থিতিকে । এই নীলু হাজরার মৃত্যুকে চালচিত্রের মতো পিছনে রেখেই এই উপন্যাস। এই আশ্চর্য প্রতিমা, যার অবয়বে প্রেম-কাব্য-মৃত্যুচেতনা, নেতৃত্ব-বীরপূজা-ঈষা ও প্রতিশোধ, এমনকী ঘটনা নিয়ন্ত্রণকারী রবীন্দ্রসঙ্গীতও। আর মুখে ? মুখে চিরন্তনতার গর্জনতেল ।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
জন্ম : ২ নভেম্বর, ১৯৩৫। দেশ—ঢাকা জেলার বিক্রমপুর । শৈশব কেটেছে নানা জায়গায় । পিতা রেলের চাকুরে। সেই সূত্রে এক যাযাবর জীবন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতায়। এরপর বিহার, উত্তরবাংলা, পূর্ববাংলা, আসাম । শৈশবের স্মৃতি ঘুরেফিরে নানা রচনায় উঁকি মেরেছে। পঞ্চাশ দশকের গােড়ায় কুচবিহার । মিশনারি স্কুল ও বাের্ডিং-এর জীবন । ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই-এ | কলকাতার কলেজ থেকে বি এ । স্নাতকোত্তর পড়াশুনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুল-শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু | এখন বৃত্তি— সাংবাদিকতা । আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। প্রথম গল্প— দেশ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস— ‘ঘুণপােকা’ । প্রথম কিশাের উপন্যাস—‘মনােজদের অদ্ভুত বাড়ি। কিশাের সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিরূপে ১৯৮৫ সালে পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার। এর আগে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার।