প্রায় একবছর বা তার বেশি সময় আগে এক বর্ষা মুখর সন্ধ্যায় আমি নিউ মার্কেটের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। একটা মিষ্টি মৃদু আওয়াজ আমায় থামিয়ে দিল। আবিষ্কার করলাম অপূর্ব, শুভ্রতা ছড়ানো একটা কিশোরী মেয়েকে। মেয়েটি রাজ্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে সুক্ষ্মভাবে দোকানিকে নুপুর আর পায়েল এর পার্থক্য বুঝাচ্ছিল। আমি তেরো চৌদ্দ বছরের সুবোধ কিশোরের মতো মেয়েটির সব কথা, যেন এক একটি গানের সুর শ্রবণ করছিলাম।
আমি সেদিন নুপুর আর পায়েলের পার্থক্য না বুঝলেও হৃদয় জ্ঞান দিয়ে অনুভব করলাম নুপুর রুপসী বাংলার নারীর ভালবাসার নাম, ভাললাগার নাম, খুব গোপনে চোখের জল গোপন করার নামও হতে পারে যা প্রিয় মানুষের দেয়া উপহারাদি।
মূলত সেই প্রেক্ষাপট আমাকে লিখতে সাহস যোগাল।
গল্পটা এক নারীর, তার ভালবাসার ধন নুপুর নিয়ে সাজানো ভালবাসার গল্প।