‘অন্যরকম ভ্রমণ’ বইয়ের কিছু কথাঃ এই লেখার শুরুতে দুটি মানুষের কথা একটু আলাদা করে বলে নেওয়া দরকার। এঁরা দুজনেই বাংলাদেশের মানুষ, থাকেন নিউইয়র্কের ব্রুকলিন অঞ্চলে। একটু ভুল হল। দ্বিতীয় জন, যাঁর নাম সাহাবুদ্দিন, তিনি নিজেকে বাংলাদেশের মানুষ বলে মনে করেন না। তিনি দেশ ছেড়েছিলেন আটষট্টি সালে যখন দেশটার নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। তাঁর পাশপোর্টে নাগরিক হিসেবে পাকিস্তানের নাগরিক লেখা ছিল। এই বত্ৰিশ বছরে তিনি ঢাকায় যাননি একবারও কিন্তু মীরপুরের আত্মীয়বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। এখন তিনি আমেরিকান পাশপোর্টহোল্ডার। ব্রুকলিনের একটি অভিজাত বার-কাম-রেস্তোরাঁর মালিক। প্ৰথমজনের নাম আব্দুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন। চাকরির সন্ধানে জার্মানি গিয়েছিলেন একসময়। সেখান থেকে চলে এসেছিলেন মার্কিনমুলুকে। একটি সন্তানের পিতা আব্দুর এখন কোনও কাজকর্ম….
সমরেশ মজুমদার
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের জন্ম ১০ মার্চ ১৯৪৪।
তাঁর শৈশব এবং কৈশাের কেটেছে জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের চা বাগানে। লেখাপড়ায় মন বসতাে না একদমই। ইচ্ছে ছিল নায়ক হবেন। তাই জলপাইগুড়ির বন্ধুদের নিয়ে সাজাতেন নাটকের দল। বাজারের জন্য দিদিমার দেয়া টাকা বাঁচিয়ে তাও খরচ করতেন বন্ধুদের নিয়ে। ষােলাে বছরের এক তরুণ সমরেশ কলকাতায় আসেন ১৯৬০ সালে। ভর্তি হন স্কটিশ চার্চ কলেজে, বাংলায়। এখানেও শুরু হলাে থিয়েটার আর নাটক লেখা, গল্প লেখার কাজ। নাটক লিখলেও নাটক হতাে না। অভিনয়ও জমছে না ঠিকমতাে। ততদিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাসের সার্টিফিকেট জুটলাে কপালে। কিন্তু নায়ক হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলাে না। এবার নাটক বাদ। গল্প লেখায় সময় ব্যয়। ১৯৭৬ সালে দেশ পত্রিকায় ছাপা হলাে তাঁর প্রথম উপন্যাস দৌড়। তারপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। প্রকাশিত গ্রন্থ ২১৫।
সমরেশ মজুমদার ১৯৮২ সালে পান ‘আনন্দ পুরস্কার'। কালবেলা উপন্যাসের জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান ১৯৮৪ সালে।