ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ পৃথিবীর ওপ্রান্তে প্রবাসী দম্পতি সুধন্য ও শীলা। প্রতিবছরের মতো অল্প কয়েকদিনের জন্য এসেছে দেশে। রাজস্থানে এবার বেড়াতে যাবেই শীলা, জেদ ধরেছে হঠাৎ।
আলোয়ার শহরের অদূরে শিলিশিরার নীল হ্রদের ধঅরে এক অপূর্ব সুন্দর প্রাচীণ দূর্গ এখন গেস্ট হাউজ। সেখানেই থাকার ব্যবস্থা। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পরই হঠাৎ শীল কেমন পালটে গেল।
জানা গেছে, ওই দুর্গে আলোয়ারের রাজপুত রাজার যে রানি থাকতেন, তাঁর নামও ছিল শীলা। শীলারানি! শীলা আর ফিরতে চাইছে না। সে যেন পালটে গেছে। নিজের চক্ষে আয়নায় দেখেছে বহুকাল পূর্বে মৃত সেই সুন্দরী রানি শীলাকে।
তবে কী শীলার জন্মান্তর ঘটেছে? নাকি রানির আত্না প্রবেশ করেছে তার মধ্যে?... অন্যরকম অলৌকিক পরিবেশে রহস্যময়তায় ঘেরা নিটোল নভেলেট।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
জন্ম : ২১ ভাদ্র ১৩৪১ (৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪) ফরিদপুর, বাংলাদেশ। মৃত্যু : ৮ কার্তিক ১৪১৯ (২৩ অক্টোবর, ২০১২) কলকাতা, ভারত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম-এ টিউশনি দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। তারপর নানা অভিজ্ঞতা। ‘আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
শখ : ভ্রমণ। দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। ‘কৃত্তিবাস' পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক তিনি। প্রথম উপন্যাস : ‘আত্মপ্রকাশ।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ : ‘একা এবং কয়েকজন। ছােটদের মহলেও সমান জনপ্রিয়তা ছিল। প্রথম কিশাের উপন্যাস- ‘ভয়ংকর সুন্দর। ‘নীললােহিত’, ‘সনাতন পাঠক’ এবং ‘নীল উপাধ্যায়’ ছদ্মনামেও লিখতেন।
গ্রন্থসংখ্যা : দ্বিশতাধিক।
একাধিক কাহিনি চলচ্চিত্রে, বেতারে ও টিভির পর্দায় রূপান্তরিত ও পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে।