আকাশে ছিল জ্যোৎস্নার মাদকতা, মস্তিষ্কে রামের নেশা। নেশার ঝোঁকে একজন পুরুষ তাঁর তরুণী, তন্বী বন্ধুপত্নীকে কাছে টেনে নিতে চেয়েছিলেন একদিন।কান্নার তীব্র নিষেধে তাঁকে নিবৃত্ত করেন বন্ধুপত্নী। বৃষ্টি-মেশা নদীতে নেমে এক নারী বিস্মৃত হয়েছিলেন তাঁর তাৎক্ষণিক পরিচয়, তাঁর দুই সন্তান ও স্বামীকে, চিরকালের এর নারী জেগে উঠেছিল তাঁর মধ্যে। তাঁরই স্বামীর বন্ধু হয়ে উছেছিল নেই নেশা-ধরানো মুহূর্তের প্রার্থিত পুরুষ। বন্ধুপত্নীকে সেদিন ফিরিয়ে দেন স্বামীর বন্ধুটি। দুজন দজনকে না বলেীছলেন এটা বেশি বড় সত্যি, নাকি দুজন দুজনকে যে চেয়েছিলেন-সেটা? এই-যে শরীরী সম্পর্কহীন সম্পর্ক, এ থেকেও কি জন্ম নিতে পারে কোন সন্তান? দুজন নারী-পুরুষের চরম অতৃপ্তির ফসল-এই বোঝাই কি সারা জীবন বইতে হবে সেই সন্তানকে? এমনই বহু বিচিত্র প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই তীব্র কৌতুহলের উপন্যাস, ‘রাকা’
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
জন্ম : ২১ ভাদ্র ১৩৪১ (৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪) ফরিদপুর, বাংলাদেশ। মৃত্যু : ৮ কার্তিক ১৪১৯ (২৩ অক্টোবর, ২০১২) কলকাতা, ভারত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম-এ টিউশনি দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। তারপর নানা অভিজ্ঞতা। ‘আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
শখ : ভ্রমণ। দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। ‘কৃত্তিবাস' পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক তিনি। প্রথম উপন্যাস : ‘আত্মপ্রকাশ।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ : ‘একা এবং কয়েকজন। ছােটদের মহলেও সমান জনপ্রিয়তা ছিল। প্রথম কিশাের উপন্যাস- ‘ভয়ংকর সুন্দর। ‘নীললােহিত’, ‘সনাতন পাঠক’ এবং ‘নীল উপাধ্যায়’ ছদ্মনামেও লিখতেন।
গ্রন্থসংখ্যা : দ্বিশতাধিক।
একাধিক কাহিনি চলচ্চিত্রে, বেতারে ও টিভির পর্দায় রূপান্তরিত ও পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে।