আকাশে ছিল জ্যোৎস্নার মাদকতা, মস্তিষ্কে রামের নেশা। নেশার ঝোঁকে একজন পুরুষ তাঁর তরুণী, তন্বী বন্ধুপত্নীকে কাছে টেনে নিতে চেয়েছিলেন একদিন।কান্নার তীব্র নিষেধে তাঁকে নিবৃত্ত করেন বন্ধুপত্নী। বৃষ্টি-মেশা নদীতে নেমে এক নারী বিস্মৃত হয়েছিলেন তাঁর তাৎক্ষণিক পরিচয়, তাঁর দুই সন্তান ও স্বামীকে, চিরকালের এর নারী জেগে উঠেছিল তাঁর মধ্যে। তাঁরই স্বামীর বন্ধু হয়ে উছেছিল নেই নেশা-ধরানো মুহূর্তের প্রার্থিত পুরুষ। বন্ধুপত্নীকে সেদিন ফিরিয়ে দেন স্বামীর বন্ধুটি। দুজন দজনকে না বলেীছলেন এটা বেশি বড় সত্যি, নাকি দুজন দুজনকে যে চেয়েছিলেন-সেটা? এই-যে শরীরী সম্পর্কহীন সম্পর্ক, এ থেকেও কি জন্ম নিতে পারে কোন সন্তান? দুজন নারী-পুরুষের চরম অতৃপ্তির ফসল-এই বোঝাই কি সারা জীবন বইতে হবে সেই সন্তানকে? এমনই বহু বিচিত্র প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই তীব্র কৌতুহলের উপন্যাস, ‘রাকা’
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
একজন বাঙালি পাঠক হয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে এড়িয়ে যাওয়া ভীষণ শক্ত। প্রথম আলো থেকে নীরা, কবিতা থেকে গল্প,উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, দুহাতে লিখেছেন।কেবল লিখেছেন বললে ভুল হবে! লিখেছেন, আলোচিত হয়েছেন,সমালোচিত হয়েছেন কিন্তু অসংখ্য পাঠকের হৃদয়ে থেকেছেন। অসংখ্য পাঠক তাকে তুলে নেয়, পাঠ করে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষার জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন।
জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪, ফরিদপুর জেলা
মারা গেছেন: ২৩ অক্টোবর, ২০১২, কলকাতা, ভারত
স্বামী বা স্ত্রী: স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় (বিবাহ. ১৯৬৭–২০১২)
সন্তান: সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: আনন্দ পুরস্কার (১৯৭২, ১৯৮৯); সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৫)
কুইজ: সুনীলের লেখা প্রথম বই কোনটি?