‘সাঁতারু ও জলকন্যা’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ কথাঃ এক ছিল সাঁতারু। ছোট্টবেলা থেকে জল তার প্রিয়। জলের সবুজ নির্জনতা ও নৈস্তব্ধ্যের মধ্যেই সে খুঁজে পায় নিজের অস্তিত্ব। জল তাকে দেয় আশ্রয় আর ক্ষতস্থানে প্রলেপ, জোগায় বেঁচে থাকার রসদ। বি এ পাশ করেছে সেই সাঁতারু। চাকরি ভাল। কাপ-মেডেলে ঘর ভর্তি। মেয়েরা তাকে চায়। খুব কাছেও এসেছে কেউ-কেউ। কিন্তু নাগাল পায়নি। সে যাকে চায়, তার শরীর হবে জলের মতোই গভীর, আকণ্ঠ অবগাহনের যোগ্য। কখনও অবশ্য দেখা দেয় তার কাঙিক্ষতা জলকন্যা। কিন্তু সে দেখা কতটা চোখের আর কতটা মনের, সে নিজেও জানে না। একদিন জানল। ডাঙ্গায় প্লাবনের চোখের সামনে দেখা দিল জলকন্যা, সত্যিকারের মানুষী চেহারায়। কী করে, তাই নিয়েই এই বড়দের রূপকথা।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
জন্ম : ২ নভেম্বর, ১৯৩৫। দেশ—ঢাকা জেলার বিক্রমপুর । শৈশব কেটেছে নানা জায়গায় । পিতা রেলের চাকুরে। সেই সূত্রে এক যাযাবর জীবন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতায়। এরপর বিহার, উত্তরবাংলা, পূর্ববাংলা, আসাম । শৈশবের স্মৃতি ঘুরেফিরে নানা রচনায় উঁকি মেরেছে। পঞ্চাশ দশকের গােড়ায় কুচবিহার । মিশনারি স্কুল ও বাের্ডিং-এর জীবন । ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই-এ | কলকাতার কলেজ থেকে বি এ । স্নাতকোত্তর পড়াশুনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুল-শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু | এখন বৃত্তি— সাংবাদিকতা । আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। প্রথম গল্প— দেশ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস— ‘ঘুণপােকা’ । প্রথম কিশাের উপন্যাস—‘মনােজদের অদ্ভুত বাড়ি। কিশাের সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিরূপে ১৯৮৫ সালে পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার। এর আগে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার।