ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ সায়েন্সটুন মূলত একটি রম্যগ্রন্থ। একটু বিজ্ঞানমনস্ক রম্য বলা যেতে পারে। বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের নিয়ে নির্দোষ রম্য। তবে সবই সত্য ঘটনা। বিজ্ঞানীদের জীবনেও যে মজার মজার ঘটনা ঘটে বা ঘটতে পারে তার প্রমাণ এই বই। এ বই একদিকে যেমন পাঠকদেরকে জ্ঞানী করে তুলবে একই সঙ্গে হাসির খোরাকও যোগাবে। অন্তত আহসান হাবীব তাই মনে করেন। ভূমিকা এই লেখাগুলো সবই সায়েন্সওয়ার্ল্ড ছাপা হয়েছিল। কিঞ্চিৎ বিজ্ঞানমনস্ক রম্য লেখা আরকি! মানে হালকা পাতলা বিজ্ঞানের ছোঁয়া আছে বলা যায়, বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ফ্রিকশন! লেখাগুলো কেমন হয়েছে জানি না। তবে বিজ্ঞান বক্তা আসিফ যিনি আমার বন্ধু মানুষও বটে তার যথেষ্ট প্রশ্রয়েই লেখাগুলো ছাপা হয়েছে সায়েন্স ওয়ার্ল্ডে। বিজ্ঞানীদের মজার উদ্ভদ কাণ্ডকারখানা নিয়ে এই বই। তবে সবই সত্য ঘটনা। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন এত কাহিনী আপনি কোথায় পান? নাকি নিজেই বানিয়ে বানিয়ে লেখেন? না পৃথিবী বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের নিয়ে কাহিনী বানব এত স্পর্ধা আমার নেই। ছোট বেলা থেকে আমার একটা অভ্যাস ছিল, মানে হবিই বলা যায়-বিখ্যাত লোকদের সম্পর্কে কোনো খবর পেলেই লিখে ফেলতাম। অনেকটা ডাইরি লেখার মতোই। তবে নিজের কথা না পৃথিবী বিখ্যাতদের কথা। সেই ডাইরি এখন কাজে লাগছে বলা যায়। এই বই পাঠকদের ভালো লাগতেই হবে। আহসান হাবীব উন্মাদ কার্যালয় মীরপুর, ঢাকা।
আহসান হাবীব (কার্টুনিস্ট)
আহসান হাবীবের জন্ম ১৫ নভেম্বর ১৯৫৭, সিলেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগােলে মাস্টার্স করে জীবনের প্রথম চাকরি ব্যাংকে। তারপর হঠাৎ পেশা বদল। পেশা হিসেবে বেছে নিলেন কার্টুন। দেশের একমাত্র স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’-এর সম্পাদক ও প্রকাশক... ত্রিশ বছর ধরে। ম্যাগাজিন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে যেন তার ভালাে লাগে। অনেক পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য দুটি পত্রিকা হল- কিশাের পত্রিকা ‘দুরন্ত’ ও সায়েন্স ফিকশন ম্যাগাজিন ‘ট্রাভেল এন্ড ফ্যাশন। কার্টুন আঁকার পাশাপাশি জোকস তাঁর প্রিয় বিষয়। বিষয়টিকে তিনি প্রায় কুটিরশিল্প পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিখ্যাত সেই স্প্যানিস দার্শনিকের মতাে তিনিও মনে করেন যে দিনটা হাসা গেল না সেই দিনটা নিদারুণ ভাবেই ব্যর্থ!'
জোকস ছাড়া রম্য রচনায়ও তিনি পারদর্শী। এই লেখকের বর্তমান বয়স ৫৫। শিক্ষিকা স্ত্রী আফরােজা আমিন আর একমাত্র মেয়ে শবনম আহসানকে নিয়ে তার নিজস্ব জগৎ