কিছু পথ যাওয়ার পর রাতুল দেখলো শান্তি সাগর রোডে প্রচন্ড ভীড়। কোনোমতেই স্কুটি নিয়ে সেখানে ঢুকা সম্ভব না। রাতুল স্কুটিটা রাস্তার পাশে রেখে মানুষের ভীড়ের মধ্যে ঢুকার চেষ্টা করছে। গিয়ে দেখে সেখানে একটা স্কুটি মাটিতে পড়ে আছে। স্কুটির লুকিং গ্লাসটা দেখা যাচ্ছে। রাতুল লুকিং গ্লাসের দিকে তাকিয়ে আছে। লুকিং গ্লাসটা কিছুটা ভাঙ্গা কিন্তু ফ্রেমে অল্প পরিমাণ গ্লাস অবশিষ্ট আছে। সেই অল্পতেই সে কি যেন দেখার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেখতে পাচ্ছে না। মানুষের জটলা লেগে যাওয়াতে একদম কাছাকাছি যাওয়াটাও সম্ভব হচ্ছে না। জটলা ভাঙ্গতে একসময় বাঁশির হুইসেল দিলো কে যেন৷ সবাই পিছনে ফেরে দেখে পুলিশ এসে পড়েছে। তারপর ভীড় ঠেলে পুলিশ কাছে গিয়ে পড়ে থাকা স্কুটিটা সরিয়ে একটা বড় চাদর দিয়ে মা মেয়ের গায়ের উপর দিয়ে ঢেকে দিলো...
রাকিব আল হাসান
পেশায় প্রেমিক, নেশায় মানুষ চেনা৷ রাকিব আল হাসান এর জন্ম ২০শে মার্চ, কোনো এক বসন্তের বিকেলে। বেড়ে উঠা নিজ শহর কুমিল্লার লাকসামে। এসএসসি পাশ করেছেন কুমিল্লার ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে, এইচএসসি পাশ করেছেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি শেষে বর্তমানে পড়াশোনা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে, এমবিবিএস ফাইনাল বর্ষে। অনেক কাজেই নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। তবে লেখালেখি আর ভাবনার জায়গাতেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ খুঁজে পান। ইউথ লিডারশীপ নিয়ে কাজ করছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। বহুমাত্রিক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন গ্লোবাল ইউথ লিডারশীপ এওয়ার্ড ২০১৯। চীনের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে চীনা স্বাধীনতার ৭০ বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত ৪র্থ আফ্রিকা এশিয়া ইউথ ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ডেলিগেট হিসেবে। এক্সসেস টু হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল, গ্লোবাল ইউথ পার্লামেন্ট, এশিয়ান ইউথ কাউন্সিলসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার 'ইউথ এম্বাসেডর' হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কাজের সুবাধে ঘুরে ফেলেছেন অনেক দেশ। একদিন ঘুরে ফেলতে চান পুরো পৃথিবী। সে পর্যন্ত মানুষ চেনা আর লেখালেখিই চলতে থাকুক।