ফ্ল্যাপে লিখা কথা দেড় শ’বছরের মতো আগে ‘শব্দকল্পদ্রুম’ নামে একটি বিখ্যাত অভিধান বেরিয়েছিল। এই ‘শব্দকল্পদ্রুম’ কিন্তু অভিধান নয়। এ বই হল ব্যাকরণের জুজুর ভয় তাড়ানোর বই। অনেকেরই জানা নেই, পড়তে জানলে ব্যাকরণের অনেক মজা। কোথায় মজা, কেমন মজা সেটুকু ধরিয়ে দেবার জন্যই এই বই। শুধু বাংলায় নয়, আরো দু-চারটি ভাষার হেঁশেলঘরের খবরও এখানে মিলবে। সে-সবও কম মজার নয়। মাতৃভাষার জণ্যে বাঙারি শহীদ হয়েছে । শুধু এখানকার বাঙালিই নয়। ভারতের আসাম রাজ্যে বাঙালিরাও । সারা পৃথিবী তাই বাঙালিকে সম্মান করে শ্রদ্ধা জানায়। সেই মাতৃভাষা না জানলে কি কম লজ্জা! বিশ্ব মাতৃভাষা দিবসের পিছনেও তো আমারই। মজার এ বইটি পড়লে মনে হয় বাংলা নির্ভুলভাবে লেখা যাবে।
হায়াত মামুদ
হায়াৎ মামুদের জন্ম ব্রিটিশ ভারতে, পশ্চিমবঙ্গের। হুগলি জেলার মৌড়া নামে অখ্যাত এক গ্রামে। ১৩৪৬ বঙ্গাব্দের ১৭ই আষাঢ় (২রা জুলাই ১৯৩৯) তারিখে। ১৯৫০ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অভিঘাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত পিতার হাত ধরে চলে আসতে হয় ঢাকা শহরে । অদ্যাবধি সেখানেই বসবাস। স্কুল-কলেজবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাপ্ত করেছেন এ শহরেই। পিএইচ. ডি. ডিগ্রি তুলনামূলক সাহিত্যে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, প্রায় প্রৌঢ় বয়সে। রুশ ভাষা অল্পবিস্তর জানেন, অনুবাদের চাকরি করেছেন প্রগতি প্রকাশনে, মস্কোয় সুদূর ও স্বপ্নিল সােভিয়েত ইউনিয়নে বসে। দেশের অভ্যন্তরে চাকরি সর্বদাই শিক্ষকতার প্রথম কলেজে, পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে অবসর-জীবন যাপন করছেন। বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন। শিশুসাহিত্যে দেশ-বিদেশের সারস্বত সমাজের সঙ্গে যােগাযােগ আছে। সৃজনশীল রচনা, অনুবাদ, গবেষণা, শিশুসাহিত্য, জীবনীগ্রন্থ, সাহিত্য-সমালােচনা, ছাত্রপাঠ্য বই ইত্যাদি মিলিয়ে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ষাটের কাছাকাছি।