ওসামা, নাসির, হাসান, জুবায়ের চার মেডিকেল রুমমেটই চেয়েছিল প্রেমিক হতে। ওসামা চেয়েছিল কলিকে, নাসির চেয়েছিল সূচীকে, হাসান চেয়েছিল সুমাইয়াকে। জুবায়ের পর্যায়ক্রমে চেয়েছিল মল্লিকাকে, শর্মিকে, শারমিনকে। এদের সবাই কোনাে একসময় তাদের প্রেমিকাকে পেয়েও গিয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ প্রেমিকারা কার হাত ধরে, প্রেমিকারা কাদের ভারপ্রাপ্ত প্রেমিক হিসেবে জীবনে নিয়েছিল, প্রেমিকরাই বা কি ভারমুক্ত হতে পেরেছিল? এসব নানামুখী প্রশ্নের উত্তরের গল্পই মূলত ‘ভারপ্রাপ্ত প্রেমিক’ উপন্যাসটি। প্রেমের গল্পের মাঝে মূলত যেখানে লুকায়িত আছে চিরাচরিত মেডিকেল ক্যাম্পাস সিস্টেম কিংবা প্রতারণার গল্প । যেসব গল্পগুলাে দিন শেষে ছাপিয়ে যায় একজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর দেখা, দেখা জীবনকেও
রাকিব আল হাসান
পেশায় প্রেমিক, নেশায় মানুষ চেনা৷ রাকিব আল হাসান এর জন্ম ২০শে মার্চ, কোনো এক বসন্তের বিকেলে। বেড়ে উঠা নিজ শহর কুমিল্লার লাকসামে। এসএসসি পাশ করেছেন কুমিল্লার ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে, এইচএসসি পাশ করেছেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি শেষে বর্তমানে পড়াশোনা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে, এমবিবিএস ফাইনাল বর্ষে। অনেক কাজেই নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। তবে লেখালেখি আর ভাবনার জায়গাতেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ খুঁজে পান। ইউথ লিডারশীপ নিয়ে কাজ করছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। বহুমাত্রিক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন গ্লোবাল ইউথ লিডারশীপ এওয়ার্ড ২০১৯। চীনের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে চীনা স্বাধীনতার ৭০ বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত ৪র্থ আফ্রিকা এশিয়া ইউথ ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ডেলিগেট হিসেবে। এক্সসেস টু হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল, গ্লোবাল ইউথ পার্লামেন্ট, এশিয়ান ইউথ কাউন্সিলসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার 'ইউথ এম্বাসেডর' হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কাজের সুবাধে ঘুরে ফেলেছেন অনেক দেশ। একদিন ঘুরে ফেলতে চান পুরো পৃথিবী। সে পর্যন্ত মানুষ চেনা আর লেখালেখিই চলতে থাকুক।