"বাজিকর" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
ইউক্রেনের মাটিতে মুখােমুখি হয়েছে আমেরিকা আর রাশিয়া-তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগলাে বলে। সেই তপ্ত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে এদেশে আশ্রয় নিলাে বাংলাদেশি বংশােদ্ভূত এক সিআইএ এজেন্ট, সাথে করে নিয়ে এসেছে দুনিয়া কাঁপানাে এক বিস্ফোরক তথ্য। পরিস্থিতি আরাে ঘােলাটে হয়ে উঠলাে যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে আর দেশসেরা স্পাই বাজিকর আহাদসহ ইউক্রেনের আকাশ থেকে হাইজ্যাক করা হলাে একটি যাত্রিবাহী বিমান। জিম্মি উদ্ধারে বাছাই করা ছ’জন এসপিওনাজ এজেন্টকে পাঠানাে হলাে বটে, কিন্তু ইউক্রেনের মাটিতে পা দিতেই বাঁধলাে বিপত্তি। গােটা মিশনের দায়িত্ব এসে পড়ে দলের সর্বকনিষ্ঠ এজেন্ট আহাদের ওপরে-যার শৈশব কৈশাের কেটেছে এতিমখানায়, ফুটপাতে, যার ট্রেনিং এখনাে শেষই হয়নি। শত্রুভূমিতে একা একা কতটুকু করতে পারবে আহাদ? অনেকগুলাে প্রশ্নের উত্তর বের করতে হবে তাকে-প্লেনটা হাইজ্যাক করেছে কে? শত্রুসেনার দলপতির গ্যাসমাঙ্কের আড়ালে কার মুখ? পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়ছে কোন মহাশক্তিধর গােপন সংস্থা? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্নওর মিশনের আসল উদ্দেশ্য কি? সত্যিই কি জিম্মি উদ্ধার মিশনে পাঠানাে হয়েছে ওকে, নাকি এই মিশনের লক্ষ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু? প্রথম উপন্যাস শ্বাপদ সনের সাফল্যের পর একেবারে ভিন্ন আর টান টান উত্তেজনার একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন নাবিল মুহতাসিম।
নাবিল মুহতাসিম
নাবিল মুহতাসিমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা রংপুরে। বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা, মা গৃহিনী। রংপুর জিলা স্কুল এবং কারমাইকেল কলেজে অধ্যয়ন শেষে পড়াশােনা করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। বড় ভাই সুলেখক নিয়াজ মেহেদীর উৎসাহে ছােটবেলা থেকেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় একটি জাতীয় দৈনিকে। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকায় অসংখ্য লেখা প্রকাশিত হয়েছে তার। ২০১২ সালে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ বর্ন লিগ্যাসি, তারপর ফাইট ক্লাব। প্রথম মৌলিক উপন্যাস শ্বাপদ সনে প্রকাশিত হয় ২০১৬-এর বইমেলায়। পরের দু-বছর বাজিকর ট্রিলােজির এসপিওনাজ-ধূলার বাজিকর ও বাজি পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে। সম্প্রতি তার শ্বাপদ সনে উপন্যাসটি কলকাতার অভিযান পাবলিশার্স থেকে ভারতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। বিভং তার চতুর্থ মৌলিক উপন্যাস এবং প্রথম সায়েন্স ফিকশন।