ইতিহাস থেকে জানা যায়, বাংলা ভাষা অনুশীলনে অন্য ধর্মাবলম্বীদের চেয়েও মুসলমানরা নানাভাবে বেশি দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। আধুনিক যুগে কাজী নজরুল বা রবীন্দ্রনাথও পারেননি বাংলা-উর্দুর দ্বন্দ্ব কাটাতে।
আদিম যুগে সংস্কৃতই ছিল সাহিত্যের, সংস্কৃতির, ধর্মের, শিক্ষার, রাজদরবার পরিচালনার বাহক। বাংলা সাহিত্যের আদিম বা প্রাচীন যুগের একমাত্র অর্জন ধরা হয় 'চর্যাপদ'।
পরের ধাপে সাহিত্যের প্রয়োজনে নাটকে শৌরসেনী, মারঠী, অবন্তী ও মাগধী ভাষা ব্যবহার হয়। এরপর মুসলমান শাসকরা ফারসি ভাষা ব্যবহার করতেন তাদের শাসন কাজে। আঠারো-উনিশ শতকে খ্রিষ্ট ও ব্রাহ্মধর্ম প্রচারে, হিন্দুসমাজ সংস্করণে এবং ইংরেজি শাসনামলে পরিচালনা কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে চেষ্টা করেন।
মধ্যযুগে হিন্দুরা ধর্মকথা তথা রামায়ণ-মহাভারত, ভগবান ও অলৌকিক দেবতাদের সন্তুষ্টির জন্য বাংলা ভাষা কাজে লাগান। চণ্ডীদাসের 'শ্রীকৃষ্ণকীতন' ও কৃত্তিবাসের 'রামায়ণ' বা মালাধর বসুর 'শ্রীকৃষ্ণ বিজয়' বা বিজয়গুপ্তের 'মনসামঙ্গলা' হলো এ যুগের অর্জন। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সাহিত্যচর্চায় মধ্যযুগের সাহিত্যের যেমন ছাপ আছে, সেই সাথে আধুনিক যুগের সাহিত্যের ছাপও পাওয়া যায়। দুটো যুগের সন্ধিক্ষণের কবি তিনি। মূলত সাহিত্যচর্চায় বাংলা ভাষা তখন থেকেই শুরু।
নিশাত ইসলাম
নাম : নিশাত ইসলাম
জন্ম : ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮২
শৈশব : চট্টগ্রাম
শিক্ষা : এমবিএ, আইআইইউসি (ঢাকা ক্যাম্পাস)।
পেশা : শিক্ষক, নাট্যকার, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট
পুরস্কার : চাঁদপুর গ্রুপ থিয়েটার পরিষদের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার-১৯৯৯। সাহিত্যে অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার-২০০৭ প্রদান করে আইআইইউসি (ঢাকা ক্যাম্পাস)। বাংলার সংগীত সংগঠন কর্তৃক প্রদত্ত সেরা লেখিকা পুরস্কার-২০১৭। ইনডেক্স মিডিয়া স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০১৭।
প্রকাশিত গ্রন্থ : কবিতা, গল্প, ভ্রমণ কাহিনি ও উপন্যাস ৩২টি।
উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ : ক্ষমা, ভালােবাসার কাজল, এখনাে অনেক রাত, নষ্ট জীবনের কষ্ট, নীরব ভালােবাসা, বিবর্ণ বেলা, ভালােবাসি তাই, পালকি, নষ্ট মন, ভালােবাসার সাত রং, সূর্যোদয়ের দেশে, মন (১ম ও ২য় খণ্ড)। তবু ভালােবাসি, অন্তরে শুধু তুমি, জয় বাহিনী, ভূত মামা।
Title :
বাংলা সাহিত্যের কয়েকটি নক্ষত্র (হার্ডকভার)