তন্দ্রা এটা চায়নি। সে জীবনটাকে সাজাতে চেয়েছিল নিজের মতো করে, তার স্বামী থাকবে, সংসার থাকবে, সন্তান থাকবে, এই সব নিয়ে সে একটা স্বর্গ রচনা করবে, স্বর্গ! সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই তাড়াহুড়া করে স্বামীর জন্য নাস্তা তৈরি করবে, বাচ্চাকে স্কুল যাওয়ার জন্য কাপড়-চোপড় পরিয়ে দিবে। সবাই নিজ নিজ কাজে বেরিয়ে পড়ার পর সে সংসার গুছানোর কাজে লেগে যাবে। কাজ শেষে সবাই বাসায় ফিরবে, নীরব বাসা সরব হয়ে উঠবে, বাসা প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠবে। তার এই চাওয়াটা বাড়তি কিছু না, সবাই যা চায় সেও তাই আশা করেছে। তার সেই আশা পূরণ না হওয়ারও কোন কারণ নেই। সে পেয়েছেও সবকিছু, স্বামী আছে, সংসার আছে, ছোট্ট ফুটফুটে সুন্দর একটা মেয়ে আছে। তাহলে নেই কী? প্রেম? ভালোবাসা? দাম্পত্য সুখ? সমস্ত কিছুর মধ্যে প্রাণের ছোঁয়া?
জিল্লুর রহমান
জিল্লুর রহমান ০১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ খ্রি. দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা: মৃত: ইউনুছ আলী, মাতা: মোছা. মরিয়ম নেছা। মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর ধর্মপুর ইউ.সি দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউট থেকে প্রথম বিভাগে ডিপ্লোমা-ইন-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। পাশাপাশি বিরল কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করেন।
ছাত্রজীবন শেষে তিনি স্কাই টাচ এ্যাপার্টমেন্ট, বেসরকারি সংস্থা কারিতাস এবং নটরডেম কলেজে দীর্ঘ দিন কাজ করার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগদান করেন।
লেখালেখির অভ্যাস ছাত্রজীবন থেকেই, তাঁর লেখা প্রথম কবিতা দৈনিক তিস্তা পত্রিকায় তারপর দৈনিক উত্তর বাংলাসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।