আজকে আমরা ধর্মকে যেভাবে দেখছি মানবসমাজের সাম্যের আদিপর্বে সেভাবে ছিল না। তখন অজানা অসহায়ত্ব থেকে জন্ম নেয় ভীতির। অজ্ঞতা, ভয় এসবই ধর্মের আদি উপাদান । পরে মানুষের সমাজ স্বার্থের দ্বন্দে বিভক্ত হলে ধর্মীয় বিধানে চলে আসে শাসক, ও শোষকগোষ্ঠীর স্বার্থগত উপাদানসমূহা শুরু হয় শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ধর্মের অপব্যবহার যা পৃথিবীময় এখনো অব্যাহত আছে। শোষণ-ক্ষেত্রে ধর্ম দায়ী নূয়- দায়ী হচ্ছে ধর্মকে ব্যবহারকারী শোষকগোষ্ঠী। অসহায় মানুষের অবলম্বন হয় ধর্ম, যদিও মুক্তির বিষয়টি নিহিত অন্যত্র। ধর্মের উৎপত্তির মতো পরিণতি নির্ধারণের দায়িত্ব ইতিহাসের। অন্যদিকে প্রকৃতি ও সমাজের প্রক্রিয়াসমূহের রহস্য জানার ইচ্ছে থেকে মানুষ জন্ম দেয় দর্শনের। জন্মলগ্ন থেকেই দর্শন দুভাগে বিভক্ত, ভাববাদ ও বন্তুবাদ। এ দুয়ের মধ্যে সংগ্রাম অব্যাহত আছে। ভাববাদ অবৈজ্ঞানিক বিধায় এর মাধ্যমে শোষণের কুক্রিয়াকে আড়াল করা যায়। সে জন্য এ দর্শন শোষকদের দর্শন। পৃথিবী যে রকম আছে সেরকমই - এ মত দেয় বন্তবাদ। এ দর্শন বিজ্ঞানসম্মত বিধায় শোষিতের দর্শন, শোষণমুক্তির হাতিয়ার। বস্তবাদের সর্বশেষ রূপ হচ্ছে দ্বন্বমূলক বস্তুবাদ। এসবই ধর্ম ও দর্শন গ্রন্থের মূল আলোচ্য বিষয় ।