জীবন বহুমাত্রিক আর মানুষ তার সমগ্র অনুভূতি দিয়ে দেখতে চায় অনেক কিছু। গাঙপরান সমকালীন সমাজ, ইতিহাস, নিসর্গ, লোকঐতিহ্য-সংস্কৃতির সাথে মানুষের মনোদৈহিক টান, স্ববিরোধ ও টানাপোড়েনের এক ব্যাপক আয়োজন। সাধারণ মানুষের শ্রম ও অসাধারণত্ব দিয়ে সৃষ্ট সভ্যতা আর এর সামাজিকতার ভেতর প্রবিষ্ট যে বোধ যাকে লেখক তাঁর ভাষাশৈলী ও ঘটনার সংশ্লেষে জাগিয়ে দিতে চেয়েছেন, যা সচেতন পাঠককে কখনো নিয়ে যাবে অন্ধকারেও, যেখান থেকে সে স্বাভাবিকভাবে আলোর ব্যাখ্যা দিতে উৎসুক। এ উপন্যাস কোনো সাজানো কাহিনী নয় অনেক কাহিনী মিলেমিশে একজন সেলিমের ক্ষুধা-তৃষ্ণা, প্রেম-যৌনতার চিৎসম্ভার; তার দেখা, না দেখা অনুভবের প্রতিচিত্র। উপন্যাসের চরিত্রগুলো কোনো পরিণতির দিকে যায় নি বরং খুঁজে ফিরেছে স্বাতন্ত্র্য, যার নাম হাহাকার, নাকি অন্যকিছু। এ আখ্যান ছক বেঁধে তৈরি হয় নি, যেন গড়ে উঠেছে ঠিক জীবনের মতো।
পরিতোষ হালদার
পরিতোষ হালদার। জন্ম বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামে। বাবা মতিলাল হালদার, মা চারুবালা হালদার। পরিতোষ হালদার রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর কলেজে অধ্যাপনারত। বেরিয়েছে তিনটি কবিতার বই, আগামী যুদ্ধের তারিখ (১৯৯৩), শব্দজলের ছবি (১৯৯৫), উত্তর বয়ান (১৯৯৬)। আর সমাজ বাস্তবতার তীক্ষè নিরিখে লিখলেন তাঁর প্রথম উপন্যাস গাঙপরান।