“‘ওই যে, শত শত মানুষ বর্ডার পেরিয়ে চলে আসছে, তাদের মধ্যে আমিও যে একজন! পাঁচিল নেই, কাঁটাতারের বেড়া নেই; কিন্তু জানতাম সীমানাটা কোথায় শেষ, জানতাম আরেকটা সীমানা কোথায় শুরু। আমার কেবলই মনে হয়, যুগ যুগ ধরে আমি সেই জায়গাটায় আটকে আছি। চলছি আর চলছি, কিন্তু একটা সীমানা শেষ হওয়ার পরে আরেকটা সীমানায় কিছুতেই পৌঁছতে পারছি না।’
‘তাকিয়ে দেখি নানার চোখে টলটল করছে পানি। চোখের পানি শুষে নিয়ে নানা বলেন, ‘ঠিক জানি না মালিকানাবিহীন সে জায়গাটা পেরিয়ে কোনো দিন নিজের দেশের সীমানায় পৌঁছতে পারব কি না। আচ্ছা, বল তো, মানুষ যেখানে জন্মায়, বেড়ে ওঠে, সেটা তার দেশ হওয়া উচিত, নাকি যেখানে তাকে বাধ্য হয়ে থেকে যেতে হয়, তারপর মৃত্যুবরণ করে, যে দেশের মাটিতে তার শরীরের শেষ কণা মিশে যায় সেটা তার দেশ হওয়ার কথা?’”