একত্রিশে ডিসেম্বরের রাতে কক্সবাজারের এক হোটেলের রুফটপ রেস্তোরাতে রবির সাথে পরিচয় হয় অদ্ভুত এক মানুষের। প্রাথমিক কথোপকথনে নিজেকে মানুষ না বরং কাক হিসেবে দাবি করে সেই ব্যক্তি। লোকটার কথাগুলোকে যখন প্রলাপ হিসেবে উড়িয়ে দেয়ার কথা ভাবছে, সেই সময়ে রবিকে এমন কিছু তথ্য দেয় মানুষটা, যা শুনে চমকে উঠে সে। কিভাবে অদ্ভুত এই লোকের পিছু ছাড়ানো যায় ভাবছে রবি, সেই সময়ে ওর কাছেই উল্টো সাহায্য প্রার্থনা করে মানুষটা। রবি তাজ্জব হয়ে আবিষ্কার করে যার বিষয়ে ওর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছে মানুষটা, সেটা তারই এক হারানো সহকমী। নিজের সহকর্মীকে উদ্ধার করতে গিয়ে একের পর এক অদ্ভুত রহস্যে জড়িয়ে পড়ে দুজনেই। ঘটনার পরতে পরতে রবি আবিষ্কার করে এর সাথে জড়িয়ে আছে ওর পরিবার, কর্মক্ষেত্র, কক্সবাজারের অপরাধ জগত এবং এই সমস্ত ঘটনার বীজ লুকিয়ে আছে মিথোলজি আর বিজ্ঞানের এমন এক জগতের সাথে, যার অনুসন্ধান করছে আধুনিক বিজ্ঞান।
মানুষ-কাক, বিজ্ঞান আর মিথোলজির এই সমন্বিত অনুসন্ধানে সবাইকে আমন্ত্রণ।
রবিন জামান খান
রবিন জামান খানের জন্ম ময়মনসিংহ শহরে, পৈত্রিক নিবাস নেত্রকোনার কেন্দুয়ায়। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে পড়শােনা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষাতত্বে দ্বিতীয় মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। শিক্ষকতাকে পেশা ও লেখালেখিকে নেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সঙ্কলনে বেশকিছু মৌলিক ও অনুবাদ গল্প প্রকাশিত হয়েছে। বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার মৌলিক গৃলার উপন্যাস ২৫শে মার্চ, সপ্তরিপু, ফোরটি এইট আওয়ার্স, দিন শেষে, আরােহী ও অন্ধ প্রহর। বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতা থেকে পুণপ্রকাশিত হয়েছে তার ২৫শে মার্চ ও সপ্তরিপু। ভারতবর্ষের ইতিহাস ও ইতিহাসের রহস্যময় ঘটনাবলী নিয়ে আগ্রহ থেকে বর্তমানে কাজ করে চলেছেন একাধিক ইতিহাস নির্ভর ধূলার উপন্যাস নিয়ে। বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।