খুন হয়েছে তানিয়া। সন্দেহের তীর স্বাভাবিকভাবেই বন্ধু রেজওয়ানের ওপর। কিন্তু সেই আত্মস্বীকৃত খুনি—ই যদি পুলিশি জেরার মুখে আত্মহত্যা করে বসে, তবে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে কীভাবে? অন্যদিকে দীর্ঘদিনের বিচ্ছেদে থাকা তানিয়ার বাবা—মা! নিশ্চুপ কেন তারা? তাদের সমস্যাটাই—বা কী?
মানুষ কেঁচো খঁুড়তে সাপ পায়। এরপর দেঁৗড়ে পালায়। কিন্তু সমত রহমান তানিয়া হত্যাকাণ্ডে খঁুজে পেয়েছেন ড্রাগন। তবে দেঁৗড় দেবার সুযোগটুকু অবধি মেলেনি। ঘটনার ঘনঘটা আর আকস্মিকতা ইসল্ট—এর ড্রাগনের মত হাতে—পায়ে জাপটে ধরেছে তাকে। সোনালি দুঃখ উপন্যাসের শিক্ষা অনুসারে ছুরিও বের করে রেখেছেন তিনি। কিন্তু মুশকিল হলো জিভ খুঁজে পাচ্ছেন—না। কোপ্টা প্রথম মারবেন কোথায় ড্রাগনটার? রহস্য উদ্ঘাটনের শুরুটা হবে কীভাবে? কীসের জন্য শুরু এই হত্যাযজ্ঞ!
তৌহিদুর রহমান
জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে। বাবা এম.এ. মজিদ সরকার, মা লায়লা মজিদ। স্থায়ী নিবাস কুড়িগ্রাম। চার ভাই-বােনের মধ্যে সবার ছােট তিনি। চাকরিজীবী বাবার বদলির সুবাদে দশ স্কুল, তিন কলেজ আর আট জেলায় শিক্ষাজীবন। পিএইচডি হিসাববিজ্ঞানে। মেধাবী ছাত্র হিসেবে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন প্রতিটি বিদ্যায়তনে। পেশায় শিক্ষক। বিচরণ লেখক হিসেবে। স্বপ্ন দেখেন দেশে একটি স্বতন্ত্র সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। কুড়িগ্রাম জেলার নিভৃত গ্রাম মধুপুরের আপন আঙিনায় তৌহিদুর রহমান সাহিত্য পরিষদ গড়বার।
লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে । উপন্যাস, ছােটগল্প, কবিতা, ছড়া, ছাপা হতাে বিভিন্ন স্থানীয়-জাতীয় দৈনিকে। লেখক হিসেবে প্রাপ্ত পদকগুলাের মধ্যে বনলতা সাহিত্য পদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, দেওয়ান হাছনরাজা, মহাকবি কায়কোবাদ স্বর্ণপদক উল্লেখ্য। উল্লেখযােগ্য প্রাপ্ত সম্মাননা: মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড, বামসাফে, ইউনাইটেড টেলিফিল্ম, স্বাধীনতা সংসদ, মাদার তেরেসা রিসার্চ সেন্টার।
উপন্যাসে স্বাচ্ছন্দ্যবােধ করলেও কবিতা, ছােটগল্প, শিশু-কিশাের সাহিত্য সবদিকে তাঁর সমান বিচরণ।