বহুমাত্রিকতা ও যুক্তিনিষ্ঠতার অপূর্ব সমন্বয় সবার মাঝে সচরাচর পাওয়া যায় না।
ব্যতিক্রমী এই লেখক জীবনকে দেখেন, বিশ্লেষণ করেন ও পরখ করেন। কখনো বা আত্মগত উপলব্ধির মাধ্যমে স্থান, কাল, ঘটনাকে করে তোলেন সর্বজনীন। বাক্যিক বিন্যাস, শব্দের বন্ধন ও উপস্থাপন দক্ষতার দ্বারা পাঠক হয় আমোদিত ও আহ্লাদিত। ইহলৌকিক জগত থেকে পাঠককে নিয়ে যেতে চায় অতিলৌকিক আনন্দের জগতে। লেখকের এটাই তো দায়িত্ব। শিল্পের এটাই তো মাধুর্য। লেখকের সহজাত রসবোধ লেখনিকে করেছে আরো উপভোগ্য। এ গ্রন্থে পাঠক পাবেন বৈচিত্রময়তার স্বাদ যা পাঠককে ভাবিয়ে তুলবে, মূল্যায়ন করার তাগিদ দিবে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে।
মাসুম ইকবাল
মাসুম ইকবাল বাংলাদেশের, তৎকালীন আর দশজন কিশোরের মতো, কবিতা দিয়ে লেখালেখির শুরু। অজস্র ম্যাগাজিন বা সাহিত্য পাতায়, কবিতা, ভ্রমণগল্প বা বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন লেখা, যতো না ছাপা হয়েছে, তার চেয়ে অমুদ্রিক লেখনির সংখ্যা, ঢের বেশী। ভ্রমণ বিষয়ক এই বইটি দিয়ে, আনুষ্ঠানিকভাবে সাহিত্য জগতে প্রবেশ। ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদচারণ শেষে, কর্ম জীবনে ঢাকা কলেজে অধ্যাপনায় জীবনধারন। রাশভারী শিক্ষক না হয়ে, হয়েছেন রসভারি সজ্জন। পদার্থবিজ্ঞানের জটিল তত্ত্ব, বা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী না লিখে, স্রোতের বাইরে গিয়ে লিখেছেন, ভ্রমণ গল্পকাহিনী। পৈত্রিক নিবাস, মানসিক রোগের প্রতিকারস্থল, পাবনায়। ব্যক্তিগত জীবনে এক কন্যা, এক পুত্র নিয়ে, একমাত্র স্ত্রীর আঁচলবদ্ধ হয়ে, সুখের সংসার।