আমার বাবার নাম ফ্র্যাঙ্ক। ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দা। বাবার দাদা, মানে আমার প্রপিতামহ জনহকিং বেশ ধনী কৃষক ছিলেন। আরও ধনী হতে গিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নেকগুলো ফার্ম কিনে, শেষ পর্যন্ত দেউলিয়াই হয়ে গেলেন।
জনের ছেলে রবার্ট হকিং আমার দাদা। বাবাকে সাহায্য করতে গিয়ে তিনিও একই পথে দেউলিয়া হয়ে গেলেন। সৌভাগ্যক্রমে গ্রামে দাদির একটা স্কুল ছিল, সেখান থেকে অল্প-স্বল্প কিছু টাকা আসত। সেটা দিয়েই চলত। যাইহোক, কষ্টে-শিষ্টে হলেও দাদা-দাদি বাবাকে অক্সফোর্ডে পাঠালেন পড়াশুনার জন্য।
স্টিফেন হকিং
জন্ম ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে। বিজ্ঞানে আবিষ্কারের নতুন দিগন্ত যেমন তিনি খুলে দিয়েছেন, তেমনি জটিল বিষয়গুলাে সাধারণ পাঠকদের কাছে সহজ ভাষায় তুলে ধরেছেন জনপ্রিয় ধারার বই লিখে। সেখানেও সফলতার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বইটি প্রকাশের পর লন্ডন সানডে টাইমস-এ এটি টানা ২৩৭ সপ্তাহ বেস্ট সেলার তালিকায় থেকেছে। তিনি বিজ্ঞান নিয়ে লিখেছেন আরও কিছু বই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময়েই হকিংয়ের দুরারােগ্য মােটর নিউরন রােগ ধরা পড়ে। সেসময় চিকিৎসকেরা তাঁর আয়ু মাত্র দু’বছর বেঁধে দিয়েছিলেন।
কিন্তু অদম্য মানসিক শক্তির জোরে তিনি পড়ালেখা ও গবেষণা চালিয়ে যান। দৈহিক অক্ষমতা জয় করে একসময় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের। লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে টানা ৩০ বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৪ সালে তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। নাম দ্য থিওরি অব এভরিথিং।