মার্কেটিং এর উপর বাংলায় এমন একটি বই লেখার উদ্যোগ নেয়ার জন্য তৌফিকুর রহমান কে ধন্যবাদ দিতে হয়। বাংলায় লেখা মার্কেটিং এর বই গুলাে মূলত টেক্সট বই, যা কিছু কলেজ বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানাে হয়, যা থেকে কর্মক্ষেত্রে কাজ চালানাে মােটামুটি অসম্ভব। যেকোনাে ঘরানার পাঠক এই বইটি পড়ে মার্কেটিং এর মৌলিক বিষয় সম্পর্কে সহজেই বুঝতে পারবে। লেখক বইতে প্রচুর বাস্তবভিত্তিক এবং তার নিজস্ব অভিজ্ঞতালব্ধ উদাহরণ যােগ করেছেন। শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, মার্কেটিং ক্যারিয়ারে যুক্ত যে কারাে জন্য উদাহরণগুলাে খুবই সহায়ক। এখন তাে স্টার্টআপ এর যুগ চলছে। তরুণ উদ্যোক্তারা কিভাবে বাজারে নিজেদের পণ্য ও সেবা নিয়ে জায়গা করে নিবে তার জন্য এই বই বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। তত্ত ও ব্যবহারিক উদাহরণ পাশাপাশি থাকার ফলে পাঠক তার মনের মাঝে একটি ছবি এঁকে ফেলতে পারবেন পড়তে পড়তে।
তৌফিকুর রহমান
তৌফিকুর রহমান জন্ম : মার্চ ১৯৭১, জন্মস্থান : ঢাকা স্কুল জীবনেই কবিতা আর ছােটগল্প লেখায় হাতেখড়ি।। তবে পেশাগত ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন লেখালেখি থেকে দূরে ছিলেন। মানুষের মনােজগৎ ও আধিভৌতিক। বিষয়গুলাে তাকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করে আর তাই। তার লেখার মূল প্রতিপাদ্য অপার্থিব রােমাঞ্চ গল্প। রূপার। মাদুলি তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। তবে ব্যক্তিগত আগ্রহের কারণেই এ বিষয়ে আরও লেখালেখি চলছে। গল্প ছাড়াও তিনি কবিতা এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিতভাবে পেশা সম্পর্কিত নিবন্ধ লিখে থাকেন।। উচ্চ মাধ্যমিকের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি । ইতােমধ্যে বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে উচচপদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করেছেন। কর্মজীবনের বাইরে। শিক্ষকতা করতে ভালােবাসেন। নর্থ সাউথ ও আইএউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন লেকচারার হিসাবেও কাজ করেছেন। বই পড়া আর ভ্রমণ তার প্রধান শখ। পেশাগত কারণে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২৯টি দেশ এবং বাংলাদেশের প্রায় সকল উপজেলা ভ্রমণ করেছেন। বর্তমানে একটি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী পরিচালক। হিসেবে কর্মরত আছেন। ব্যক্তিজীবনে স্ত্রী রুশদিনা খান, পুত্র ফারাজ রহমান এবং কন্যা জায়না রহমানকে নিয়ে তার ঘর-সংসার