নির্বাসন (হার্ডকভার) - সাদাত হোসাইন | বইবাজার.কম

নির্বাসন (হার্ডকভার)

    4.67 Ratings     3 Reviews

বইবাজার মূল্য : ৳ ৪৭২ (২০% ছাড়ে)

মুদ্রিত মূল্য : ৳ ৫৯০

প্রকাশনী : অন্যধারা





WISHLIST


Related Bundles


Bundle Title Price
1
সুপার থ্রি

৳ ৮২০

2
অন্যধারা রোমান্টিক বান্ডেল

৳ ৮৪৮

3
সাদাত হোসাইন জনপ্রিয় বান্ডেল (৩টি বই একসাথে)

৳ ১০৬৫



Overall Ratings (3)

Salim
25/04/2020

#বই_নির্বাসন যে গল্পে নায়ক নায়িকার মিলন প্রথমেই হয়ে যায় সেখানে পরে নেমে আসে বিচ্ছেদের কালো ছায়া। এ যাবৎকাল যা পড়েছি তাতে এই ধারণাই হয়েছে। নির্বাসন পড়তে গিয়েও মনে হয়েছে পরে কি হবে তাতো বুঝতেই পারছি। কিন্তু সাদাত হোসাইনের লেখা মানেই টুইস্টের খেলা। লিখনশৈলী সাধারণ ধাচের হলেও তার উপন্যাসে মূলত প্রাধান্য পায় কাহিনী। তার লেখা মানবজনম ও অন্দরমহল পড়ে অন্তত এটাই মনে হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা সঙ্গে করেই শুরু করেছিলাম নির্বাসন। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মুনসুর এবং কণার প্রেম সার্থকতা লাভ করে একরকম ঝামেলাবিহীন পারিবারিক বিবাহের মাধ্যমে।বিয়ের পর বছর না ঘুরতেই মুনসুরের গলিত লাশ একদিন পাওয়া যায় নদীতে,কণার মধ্যে তখন একটু একটু করে বড় হতে থাকে মনসুরের রেখে যাওয়া শেষ চিহ্ন। অল্পবয়সী কণাকে তার বাবা মা আবার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। অপরদিকে তোরাব আলী লস্কর ডাকাতের দুজন সদ্যকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া ও একজন খুন হওয়ার ঘটনায় তার সাথে একরকম ঠন্ডা যুদ্ধ চলতে থাকে মুনসুরের বাবার।এসময় তোরাব আলীর নাতনি জোহরা হয়ে ওঠে দঃসাহসী, বেপরোয়, পুলিশের সাথে পাঙ্গা নিয়ে বসে। তাকে থামানো যায় না। সে যেন এক জ্বলন্ত অগ্নি,আবার নিভে গেলে মায়াময়, স্নিগ্ধ, কোমল। চলতি ঘটনা বহুদূর। সতিই বইটি ভালো ম একটি বই। আমি পরেছি আপ ও পরুন।।


Al amin
11/04/2020

"নির্বাসন" নামটাতেই কেমন যেন আত্মত্যাগ, মনের কোণে লুকিয়ে থাকা কিছু যন্ত্রণা কাতর অনুভূতি যুক্ত ভাবার্থ লুকিয়ে থাকে। নির্বাসন কারই বা ভালো লাগে হোক সেটা সেচ্ছায় বা অন্যের ইচ্ছায়। এই উপন্যাসটি নিয়ে এ অবধি মোট পাঁচটি উপন্যাসের সৃষ্টিকারী বর্তমান প্রজন্মের তরুণ লেখক সাদাত হোসাইন ঠিক যেন সঠিক সময়ে পাঠকের বিশাল চাহিদা টুকু বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। নয়তো পাঠক গল্প পড়ার সময় এত গভীর ভাবে কিভাবে ডুবে থাকেন? যেনো সে নিজেকেই গল্পের কোন চরিত্রের মধ্যে প্রবল ভাবে খুজে পান। . উপন্যাসের শুরুটা হয়েছিলো ডাকাত সর্দার তোরাব আলী লস্করদের জীবনকাল দিয়ে। লোকালয় থেকে বহু দূরে প্রত্যন্ত এক চরে বংশপরম্পরায় তাদের বাস। সাধারণ মানুষের সাথে ডাকাত দলের এই এক সম্পর্ক, সাধারণ মানুষ তাদের পাপী,খুণী,ভয়ঙ্কর ডাকাত বলে জানেন আর ডাকাতরা সাধারণ মানুষদের তাদের জীবিকার উৎস হিসেবে জানেন। ডাকাত দলের কাছে সাধারণ মানুষ দুশমন না হলেও বন্ধু যে নন তা খুব ভালো করেই জানেন তারা। ঠিক এরকমই সাধারণেরা হারিয়ে যায় ডাকাতের ভীরে,ডাকাতরা হারিয়ে যায় সাধারণদের ভীরে। . ১৯৮৮ সালের নির্বাচন কালে দেশের পরিস্থতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে নবীগঞ্জের পাটের আড়ত ব্যবসায়ী আজহার খন্দকার তার মেডিকেল পড়ুয়া বড় ছেলে মনসুরকে বাড়ি নিয়ে আসেন। এই আসাই তার মেডিকেল পড়ুয়া জীবনের ইতি ঘটায়, মেনে নিতে হয় ভাগ্যের নির্মম সত্য কে। গোবিন্দপুরে বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে গেলে সেখানে মনসুরের পরিচয় হয় কনার সাথে।দুজনের পরিচয় থেকে প্রেম,বিয়ে,প্রণয়ের এক নিপুণ বর্ণনা লেখক তার যাদুর হাতে সাজিয়ে তুলেছেন, যে জগতে আপনি আপনার নিজেকে কল্পনা করতে বাধ্য। . গল্পের আরেক প্রধান চরিত্র ডাকাত সর্দারের একমাত্র নাতনি জোহরা। যার সাহসিকতা,বুদ্ধিমত্তা আপনাকে গভীর ভাবে ভাবতে বাধ্য করবে। একের পর এক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে লস্করচরের সকলের মনে সেরা হওয়ার ঘটনা সত্যিই অসাধারণ। সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা এসব বলে কয়ে কেবল ভদ্রপল্লীতেই আসেনা যার একমাত্র উদাহরণ "জোহরা" ডাকাত দলের নবীগঞ্জ আক্রমণ, ডাকাতদের আজহার খন্দকারের সাথে দুশমনি সম্পর্ক তৈরি,মনসুরের লস্করচরে নির্বাসিত জীবন,কনা ও মনসুরের ভালোবাসার সুখের জীবনে কিভাবে ডাকাত সর্দরের নাতনি জোহরার আগমন ঘটে তা জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে এ বইটি। . বইয়ের যে যে অংশগুলো মনে ধরেছে: "যে ঘরে নারী নেই,সেই ঘরের চেয়ে মায়াহীন গৃহ আর জগতে নেই।একজন মা, একজন স্ত্রী, একজন কন্যা একটা ইট-কাঠ-পাথরের কাঠামোকে মুহূর্তেই ঘর বানিয়ে ফেলতে পারে।জীবনের রোজকার ক্লান্তির দিন, যুদ্ধের পথ,অবিরাম ছুটে চলা শেষে সেই ঘরখানায় তাই ফিরে আসতে হয়।একটু আশ্রয়ের জন্য, একটু প্রশান্তির জন্য, একটু মায়াময় স্পর্শের জন্য। " -পৃষ্ঠা নং-২৭ . "ডাকাত সর্দার তোরাব আলী লস্করের কোন রাজনৈতিক দল নেই বলে সে ডাকাইত আর যারা দল করে তারা সব মসজিদের ইমাম সাব? দুই দলের কাম ত একই,ডাকাতি করা। তোরাব আলীর তাও নীতি আছে, কথা মত কাম করলে ঝামেলা নাই,আর এরা ত(সরকারের আমলা কামলা ডাকাত) যখন খাই ওঠে তখনই ভাদ্র মাসের কুত্তা হইয়া যায় কোন ন্যায় নীতির বালাই নাই।" পৃষ্ঠা নং-১৬৮ . "আমাদের সবার বুকের ভেতরেই একান্ত নিজের একটা জগৎ থাকে,নিজের একটা মানুষ থাকে।সেই মানুষটার কাছে আমরা শিশু হয়ে যেতে চাই। আমরা চাই সেই মানুষটা আমার খামখেয়ালি বুঝুক।আমার রাগ, অভিমান,ভালোবাসা, দুঃখ,আনন্দ সব বুঝুক।আমি না বলতেই বুঝুক।" পৃষ্ঠা নং-১৫৫ উপন্যাসটিতে যা শিক্ষনীয়: আমরাদের চোখে সমাজে চোর,ডাকাত একদল পাপী সম্প্রদায়। চোর,ডাকাত ব্যাক্তিগত ভাবে তাদের নিজেদের কি ভাবে? তারা কি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেনা?  হুম, করে! তারা এটাও বিশ্বাস করে যে, চুরি করা, ডাকাতি করা তাদের একটা পেশা।তারা শত সঠিক যুক্তি দিবে নিজেদের এই পেশাকে সৎ বলতে।এমনকি আপনি আপনার মহৎ জীবন যাপন করা জগৎ থেকে যখনি তাদের মধ্যে ডুবে যাবেন তখন আপনারো মনে হবে এই পেশার মানুষগুলোকে বাহির থেকে সবাই মন্দ বলে, পাপী বলে তবে এদের জগৎ টাও আর পাঁচটা মানুষের মতই। এরাও কষ্ট পেলে নামাজ পড়ে,ভালোবাসায় ঘর বাঁধে, যেমন টা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ জেনেও মনসুরের ছোট্ট একটু স্মৃতি পেটে নিয়ে বাকিটা জীবন পারি দিবে লস্করের ডাকাত চরে ছোট থেকে বড় হওয়া "জোহরা" নামের মেয়েটি। ভালোবাসার এক নিপুণ সম্পর্ক লেখক সাজিয়ে তুলেছেন এখানে। সমাজের কিছু ব্যাক্তিদের আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে ভালবেসে অন্যকে আপন করে নিতে হয়। যেমনটা আজহার খন্দকার ভালবেসে আপন করেছেন দেলোয়ার হোসেনের একমাত্র মেয়ে কনাকে পুত্রবধু সম্পর্কের চাইতেও বড় করে নিজের মেয়ের মত করে। মা মেয়ের ভালবাসার সম্পর্ক, বাবা মেয়ের ভালবাসার সম্পর্ক, স্বামী স্ত্রীর ভালবাসার সম্পর্ক এতটা সুন্দর করে গুছিয়ে এক ভালবাসাময় উপন্যাস উপহার দিয়েছেন লেখক তার পাঠক কে। এছাড়াও লেখক এমন এক অবস্থানে তার উপন্যাসের ইতি টেনেছেন যে আপনি নিজেই সেই উপন্যাসের যোগ্য ইতি কল্পনা করে নিবেন। জোহরা, মনসুর ও কনার এই অসমাপ্ত উপন্যাসের জীবনচক্র কে অনুধাবন করে নিতে,কল্পনার জগৎ কে নিজের মত করে সাজিয়ে গল্পের পরিনতি রচনা করতে হলে পড়ুন "নির্বাসন"।


Muhammad Mosharrof Hussain
09/04/2020

#রিভিউ নং ১৩ #বইঃ_নির্বাসন #লেখকঃ_সাদাত_হোসাইন সাদাত হোসাইন এর লেখা পড়া এটা আমার দ্বিতীয় বই। ২০১৮ তে নিঃসঙ্গ নক্ষত্র পড়ে লেখকের লেখার সাথে পরিচিত হই। #সার_সংক্ষেপঃ নির্বাসন একটি সামাজিক, রোমান্টিক, আঞ্চলিক, রহস্যে ঘেরা উপন্যাস। নবীগঞ্জ শহর, গোবিন্দপুর গ্রাম এবং লস্করের চর এই তিনটি স্থানকে ঘিরে বর্ণিত হয়েছে নির্বাসন উপন্যাসটি। উপন্যাসটিতে অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য চরিত্র রয়েছে। নবীগঞ্জের আজহার খন্দকার, এবং তার দুই ছেলে মনসুর ও মঞ্জু, নবীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা কর্মচারী মইনুল হাসান, একরামুল ও নুরুন্নবী। লস্করের চরের তোরাব আলী লস্কর, এবং তার নাতনি জোহরা, এছাড়াও হানিফ, বাহাদুর, আয়নাল হক উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে গোবিন্দপুরের কণা, কণার বাবা দেলোয়ার হোসেন, মা শাহিনা বেগম উল্লেখযোগ্য। নবীগঞ্জের মনসুর ডাক্তারি পড়া অবস্থায়ই বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কণাকে দেখে পছন্দ করে অতঃপর ভালোবাসা, বিয়ে। কণার মনসুর যখন তাদের নতুন সংসার সাজানো এবং নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে দিন কাটাচ্ছে। তখন অপরদিকে লস্কর ডাকাতদের চরের মানুষদের নানা অসুখ-বিসুখ এর কারণে ডাকাত সর্দার তোরাব আলী লস্কর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত দিশেহারা। তখনই তার আদরের নাতনি জহুরা আত্মপ্রকাশ করে। সে চরের মানুষদের সুরক্ষা করতে একটার পর একটা দুঃসাহসী পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। ডাকাতির জের ধরে নবীগঞ্জের ব্যবসায়ী খন্দকারের পরিবারের সাথে যোগসূত্র তৈরি হয়। ডাকাতদের মোকাবেলা করতে গিয়ে নেমে আসে খন্দকার পরিবারে ভয়াবহ করুণ পরিণতি। দুঃসহ প্রভাব পড়ে কণার এবং তার বাবারবাড়ির, শ্বশুরবাড়ির মানুষদের জীবন। মনসুরের সাথে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল সেটাই ছিল উপন্যাসের মূল টুইস্ট। এ ঘটনার মধ্য দিয়েই বদলে যায় গল্পের মোড়। পরিবর্তন হয়ে যায় অনেকগুলো জীবনের গল্প। #নিজস্ব_মতামতঃ গত তিন মাস ধরে টানা নবীন লেখকদের বই পড়তে পড়তে মোটামুটি একটা ধারনা তৈরি হয়ে গিয়েছিল মনে তাদের লেখা সম্পর্কে। কিন্তু নির্বাসন পড়তে গিয়ে আমি কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্বে পরে গেছি। প্রথম যখন পড়া শুরু করলাম কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে ভাবছি এইতো বেশ, লেখক খুব যত্ন নিয়ে বইটি লিখেছেন। পরক্ষনেই দেখলাম লেখক শেষ পর্যন্ত সে যত্ন ধরে রাখতে পারেননি। কিন্তু এই বিশাল আকারের উপন্যাসটি লেখক আমাকে দিয়ে বেশ আগ্রহের সাথে শেষ করিয়েই ছাড়লেন। উপন্যাসের প্লট নির্বাচনটি ছিল দারুণ। একটি এলাকার দুঃসাহসী ডাকাতদল এবং তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত একটি পরিবারের গল্প। সেই সাথে ফুটে উঠেছে নবীগঞ্জের চরাঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রা। লেখক চরিত্র এবং তাদের সম্পর্কগুলোকে উপন্যাসে চিত্রায়ন করেছেন চমৎকারভাবে। এই উপন্যাসের রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তোরাব আলী লস্করকে লেখক ডাকাত বংশের দলীয় প্রধান হিসেবে তার চরিত্রের দৃঢ়তা, গাম্ভীর্যতা, দূরদর্শিতা ইত‍্যাদি গুণাবলী দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন। জহুরার চরিত্রে লেখক কখোনো মাতৃত্বের মায়া মমতা, কখনো ডাকাতিনীর নৃশংসতা আবার কখনো ভালোবাসার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা জহুরাকে রহস্যময়ী এক চরিত্রের সৃষ্টি করেছেন। জোহরার তার দাদার সাথে খামখেয়ালি সংলাপ গুলোও বেশ চমৎকার। কণা আর মনসুরের ভালোবাসার রোম্যান্টিক চিত্রটি খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। কণার দুর্বিষহ দিনের বর্ণনাও ছিল পাঠকের হৃদয় ছুঁয়া। এছাড়াও পার্শ্ব চরিত্রগুলো লেখক যুক্তিযুক্তভাবে চিত্রায়ন করেছেন। বর্ণনায় শব্দচয়নে বেশ যত্নশীলতার ছাপ পাওয়া যায়। বেশ সহজ সহজ সাবলীল ভাষায় বর্ণনা করেছেন। খুব সুন্দরভাবে নবীগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ করেছেন সংলাপে। এবং নামকরণের যথার্থতা ফুটে উঠেছে উপন্যাসটিতে। এবার বলছি, একজন নবীণ উদীয়মান লেখকের রচনায় কিছু জড়তার কথা। আমার মনে হয়েছে কিছু জায়গায় বর্ণনায় এবং শব্দচয়নে অপটুতা রয়েছে। যে কথাটি দুই-তিন লাইনে লিখতে পারতেন সেখানে পাঁচ-ছয় লাইনে লিখেছেন। শব্দচয়নের ক্ষেত্রে একই শব্দের অধিক ব্যবহার যেমন মুগ্ধ, আনন্দ, রাগ, বিরক্ত, খুশি সকল বিশেষণের সাথেই “যারপরনাই” শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এই “যারপরনাই” এর অতিরিক্ত ব্যবহারে আমি সত্যি সত্যি যারপরনাই বিরক্ত। ইংরেজি শব্দের বেমানান ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। কিছু অতিরিক্ত বর্ণনায় গল্পের সুর কেটেছে কিছু জায়গায়। কিছু সম্পর্কের বর্ণনা অতিরঞ্জিত ভাব দেখা যায়। যেমন কণার সাথে তার শ্বশুরের সম্পর্ক। লেখক উপন্যাসে বিভিন্ন চরিত্রের মাঝে আলাদা আলাদা ভাবে আঞ্চলিক ভাষা ও মার্জিত শহুরে ভাষা ব্যবহার করেছেন। সেখানে অনেক সময় গুলিয়ে ফেলেছেন। আশা করি লেখক এই সমস্ত জড়তা কাটিয়ে উঠবেন। লেখক এর জন্য রইল শুভকামনা ও ভালোবাসা। সবশেষে বলতে চাই, উপন্যাসটি শেষ হয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত প্রশ্ন রেখে। লেখক সেটা পাঠকের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। আমি জানি না অন্য পাঠকদের কেমন মনে হয়েছে। যেটা ঘটতে যাচ্ছিল সেটা ভাবতে গেলে আমার নিজেকে পাগল পাগল লাগছে। অন্যদিকে বিপরীতটা ভাবতে গেলে মনে হচ্ছে, লেখক আমাদের আরও একটি চমৎকার উপন্যাস লিখে উপহার দিতে পারেন। বইটি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্যঃ বইঃ নির্বাসন লেখকঃ সাদাত হোসাইন প্রকাশনীঃ অন্যধারা প্রকাশন প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মুদ্রিত মূল্যঃ ৫৯০ টাকা #বিঃদ্রঃ কোন রিভিউই সার্বজনীন নয়।


PAYMENT OPTIONS

Copyrights © 2018-2024 BoiBazar.com