ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ জমজমাট এ রহস্যকাহিনীর কেন্দ্রস্থুল স্যানফ্রান্সিকোর একটি হাসপাতাল। তিন নারীকে নিয়ে এ গল্প। তারা হল :
ড. পেড়ি টেলর পেগির এক রোগী স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছিল কিন্তু তার মৃত্যুর পরে যখন জানা গেল সে এক মিলিয়ন ডলার দিয়ে গেছে ডা. পেগিকে, সবাই মেয়েটিকে সন্দেহ করতে শুরু করল। খুনের অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হল ডা. পেগি টেলরকে।
ডা. ক্যাট হান্টার মেয়েটি প্রতিজ্ঞা করেছিল জীবনেও কোনদিন কোনো পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হবে না। কিন্তু এক সময় সে প্রেমে পড়ে গেল এক সুদর্শন যুবকের এবং সেই সাথে ডেকে আনল নিজের মৃত্যু।
ডা. হানি ট্যাফেট হানি একজন ডাক্তার যদিও ডাক্তারি সে কিছুই জানে না। নিজের দুর্বলতা ঢাকার জন্য সে ব্যবহার করতে লাগল মোক্ষম অন্ত্রটি-সেক্স!
বইটি সম্পর্কে টুডে পত্রিকার সমালোচক মন্তব্য করেছেন : আমি এ পর্যন্ত যতগুলো পপুলার নভেল পড়েছি, রোমাঞ্চ এবং রহস্যে নিঃসন্দেহে সবগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে সিডনি শেলডনের নাসিং লাস্টস ফর এভার।
সিডনি শেলডন
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক সিডনি শেলডন। তাঁর প্রথম বই ‘দ্য নেকেড ফেস’কে নিউইয়র্ক টাইমস অভিহিত করেছিল বছরের সেরা রহস্যোপন্যাস' বলে। শেলডন যে ১৮টি থ্রিলার রচনা করেছেন, প্রতিটি পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলারের মর্যাদা। তার সবচেয়ে হিট রােমাঞ্চোপন্যাসের মধ্যে রয়েছে : দ্য আদার সাইড অভ মিডনাইট, ব্লাড লাইন, রেজ অভ এঞ্জেলস, ইফ টুমরাে কামস, দ্য ডুমসডে কন্সপিরেসি, মাস্টার অব দ্য গেম, দ্য বেস্ট লেইড প্ল্যানস, মেমােরিজ অভ মিডনাইট ইত্যাদি। এই বিখ্যাত লেখক ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে মৃত্যুবরণ করেন।
অনীশ দাস অপু
জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সাল জন্মস্থান বরিশাল, পিতা প্ৰয়াত লক্ষী কান্ত দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স সহ এম, এ করেছেন। ১৯৯৫ সালে লেখালেখির প্রতি অনীশের ঝোক ছেলেবেলা থেকে ছাত্রাবস্থায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকাগুলোতে চিত্তাকর্ষক ফিচার, গল্প এবং উপন্যাস অনুবাদ শুরু করেন। হরর এবং থ্রিলারের প্রতি তাঁর ঝোকটা বেশি। তবে সায়েন্স ফিকশন, ক্লাসিক এবং অ্যাডভেঞ্জার উপন্যাসও কম অনুবাদ করেননি। এ পর্যন্ত তাঁর অনুদিত গ্ৰন্থ সংখ্যা ১০০’র বেশি। অনীশ দাস অপু লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি দৈনিক যুগান্তর- এ সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তবে লেখালেখিই তার মূল পেশা এবং নেশা ।