‘বিয়ের পরে সেটা আর ভালোবাসা থাকে না, স্বামী-স্ত্রী যেন দুটো যন্ত্র হয়ে যায়। সেখানে সবকিছু চলে নিয়মমাফিক। ভালোবাসা হচ্ছে একটা অনিয়ম, যখন সেখানে নিয়মকানুন চলে আসে তখন আর ভালোবাসা থাকে না।’
জনপ্রিয় লেখক রেদোয়ান মাসুদ এর উপন্যাস অপেক্ষা-১ ও অপেক্ষা-২ এর ধারাবাহিক সাফল্যের পর এবার আসছে অপেক্ষা-৩। অপেক্ষা একটি রোমান্টিক প্রেমের উপন্যাস, বিরহের উপন্যাস, উঠতি বয়সি তরুণ তরুণীদের জন্য একটি শিক্ষামূলক উপন্যাস। একটি জীবন্ত কাহিনী বর্ণনার ছলে লেখক উঠতি বয়সি তরুণ তরুণীদের দিয়েছেন সতর্কবার্তা। লেখক অপেক্ষা-১ এর মুখবন্ধে লিখেছেন, “এই বয়স তারুণ্যের বয়স। এই বয়সে হাতে থাকবে বই, গোলাপ নয়। এটাও মনে রাখতে হবে গোলাপেও কাঁটা আছে”। অপেক্ষা-২ এর মুখবন্ধে লিখেছেন, “ ভালোবাসার পিছনে না ঘুরে বইয়ের পিছনে ঘুরুন। দেখবেন একসময় ভালোবাসা আপনার পিছনে ঘুরবে”। অপেক্ষা-৩ এর মুখবন্ধে লিখেছেন, “স্কুলকলেজের প্রেম হলো সর্বনাশা প্রেম । এই প্রেম দুটি মানুষকে ধ্বংস করে দেয়”। মূলত পুরো উপন্যাস জুড়েই লেখক উঠিতে বয়সি তরুন-তরুণীদের সতর্ক করেছেন এই বলে, ‘এই বয়স আবেগের বয়স। এই বয়সে বিবেকের চেয়ে আবেগ বেশি খেলা করে। তাই সবকিছুতেই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ ও পারিবারিক টানাপোড়ন নিয়েই অপেক্ষা উপন্যাস। আর সেই অপেক্ষার শেষ পর্ব হলো অপেক্ষা-৩।
রেদোয়ান মাসুদ
রেদোয়ান মাসুদ বর্তমান সময়ের উদীয়মান কবিদের মধ্যে অন্যতম। ইতিমধ্যে তার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তার লেখার মধ্যে ভালােবাসা, দেশপ্রেম, শিশুতােষ, মানবপ্রেম, আবেগ, অনুভূতি ও বিরহ জড়ানাে। রেদোয়ান মাসুদ ১৯৮৮ সালের ৬ জানুয়ারি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন মােড়ল কান্দি গ্রামে এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মােঃ নুরউদ্দিন মােড়ল ও মাতার নাম জামিলা খাতুন। ২০০৬ সালে তার মা মারা যান। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগ থেকে এম.বি.এ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ তথ্য ভান্ডার বাংলাকোষ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, হেলথ এইড হাসপাতালের পরিচালক ও জনপ্রিয় নিউজ পাের্টাল মােড়ল নিউজ-এর বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক। কবিতা চর্চার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করেন। ২০১৪ সালে বই মেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মায়ের ভাষা। ২০১৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার ২য় কাব্যগ্রন্থ মনে পড়ে তােমাকে’। ২০১৭ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘অনেক কথা ছিল বলার। তার মনে পড়ে তােমাকে’ ও ‘অনেক কথা ছিল বলার’ বই ২টি কলকাতা বইমেলায়ও প্রকাশিত হয়েছে। যা পাঠকের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগায়। ২০১৮ সালের বই মেলায় প্রকাশিত হয় তার ১ম উপন্যাস ‘অপেক্ষা। তার আরাে ৩ টি বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। তিনি কবিতা ও উপন্যাস লেখার পাশাপাশি ইতিহাস চর্চাও করে যাচ্ছেন। ইতিহাসের উপর কয়েকটি বই প্রকাশের জন্য কাজ শুরু করেছেন। তিনি জাকজমকপূর্ণ জীবনযাপনে ততােটা আগ্রহী নন। তাই আধুনিকতার এই যুগে একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করছেন।