অনেক দেরি হয়ে গেছে। মৃত্যু হয়ে এখন আমি তোদের দরজায় দাঁড়িয়ে কড়া নাড়ছি। তোরা কি ভাবলি এখানে খাজানা রয়েছে? হাহা হাহাহ! এটা আমার ভিটে! এখানে কেবল আমি থাকি আর কেউ না! আমাকে অপঘাতে মারা যেতে হয়েছিল। ওই বড়ো রানি আমাকে মিথ্যে বলে এখান থেকে নিয়ে গিয়ে তলোয়ার দিয়ে আমার শিরটা সেদিন ধর থেকে আলাদা করে দিয়েছিল। মানুষের কোনো করুণা নেই। তারা পাথর। তারা শুধু লোভ আর স্বার্থপরতা বোঝে। কাউকে ছাড়ব না আমি, কাউকে না!
সঞ্চারী ভট্টাচার্য্য
সঞ্চারী ভট্টাচার্য। জন্ম ৩রা জানুয়ারি, ১৯৯০ সালে। ছোটোবেলা থেকেই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসেন। ইতিহাস বিষয়টি নিয়ে রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর লেখালেখির বিষয়টির প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। নিজস্ব ফেসবুক গ্রæপে লেখালেখি করে জনপ্রিয়তা অর্জনের পর সাহিত্যের এক নতুন দিক আবিষ্কার করেন তিনি। ভৌতিক গল্পের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জনের পরে ভ‚ততত্ত¡ ম্যাগাজিনে প্রথম লেখার সুযোগ পান। এরপর নিজস্ব ভৌতিক উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের কলকাতা বইমেলায় ‘মেহেরুন্নিসা’। খোয়াই পাবলিসিং হাউজ থেকে এই সমাদরটি অর্জনের পর থেমে থাকেননি তিনি। সাঁঝবাতি, সূচনা, শিল্পনীড় সাংস্কৃতিক পত্রিকা, প্রগতি পত্রিকা, বৃত্তের বাইরে, হিয়ার কথা, বইবাড়ি, চন্দ্রপ্রভা, কান্ডারি, রোদের ডানা, বুক রিডার্স পাবলিকেশন, স্টোরি মিরর প্রভৃতি জনপ্রিয় পত্রপত্রিকাতেও লেখালেখি করেছেন এবং বর্তমানেও করে চলেছেন নিয়মিতভাবে। অনুরাগীদের ভালোবাসা এবং সমর্থনকেই পাথেয় করে চলতে চান তিনি। প্রতিলিপি অ্যাপেও তিনি একজন টপরেটেড লেখিকা। প্রতিলিপিতে তার পাঠকসংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লাখ।