তবুও মনের মধ্যে বেঁচে থাকার আশাটাকে কোনো রকমে জিইয়ে রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। একা একা নিজের পরিবারকে নিয়ে বেঁচে থাকার সাধ থাকলেও নিজেকে সুস্থ রাখার লড়াইয়ে তিনি অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছিলেন। তবুও আত্মবিশ্বাসকে বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। বেশ কিছুটা সময় এভাবে অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর যখন ধীরে ধীরে জেইনসন নিজের জীবনে স্বাভাবিকত্ব ফিরে পাচ্ছিলেন তখন তার মনে হলো নিজের পরিবারকে নিয়ে আবার নতুন করে বাঁচতে শিখতে হবে। দুই কন্যা সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সবার প্রথম যে বিষয়টি মনে হয়েছিল তা ছিল তাদের মুখে হাসি ফোটানো। ক্যাথরিন জীবিত থাকাকালীন তারা এক ভালোবাসার ছত্রছায়ায় নিজেদের বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন কিন্তু তার মৃত্যুর প্রভাব যে শুধুমাত্র ওই কন্যাসন্তানটিকে অন্ধকারে নিয়ে গেছিল তা নয়, তার পাশাপাশি জেইনসনের জীবনটাও অনেকখানি অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে গেছিল। জীবনকে সবদিক থেকে হেরে যেতে দেখেও আবার নতুন করে বাঁচার সাধ জেগেছিল তার। তারপর...
সঞ্চারী ভট্টাচার্য্য
সঞ্চারী ভট্টাচার্য। জন্ম ৩রা জানুয়ারি, ১৯৯০ সালে। ছোটোবেলা থেকেই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসেন। ইতিহাস বিষয়টি নিয়ে রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর লেখালেখির বিষয়টির প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন। নিজস্ব ফেসবুক গ্রæপে লেখালেখি করে জনপ্রিয়তা অর্জনের পর সাহিত্যের এক নতুন দিক আবিষ্কার করেন তিনি। ভৌতিক গল্পের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জনের পরে ভ‚ততত্ত¡ ম্যাগাজিনে প্রথম লেখার সুযোগ পান। এরপর নিজস্ব ভৌতিক উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের কলকাতা বইমেলায় ‘মেহেরুন্নিসা’। খোয়াই পাবলিসিং হাউজ থেকে এই সমাদরটি অর্জনের পর থেমে থাকেননি তিনি। সাঁঝবাতি, সূচনা, শিল্পনীড় সাংস্কৃতিক পত্রিকা, প্রগতি পত্রিকা, বৃত্তের বাইরে, হিয়ার কথা, বইবাড়ি, চন্দ্রপ্রভা, কান্ডারি, রোদের ডানা, বুক রিডার্স পাবলিকেশন, স্টোরি মিরর প্রভৃতি জনপ্রিয় পত্রপত্রিকাতেও লেখালেখি করেছেন এবং বর্তমানেও করে চলেছেন নিয়মিতভাবে। অনুরাগীদের ভালোবাসা এবং সমর্থনকেই পাথেয় করে চলতে চান তিনি। প্রতিলিপি অ্যাপেও তিনি একজন টপরেটেড লেখিকা। প্রতিলিপিতে তার পাঠকসংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লাখ।