অদ্ভুত সব মানুষের গল্প বলতে জানেন দীপান্বিতা রায়। আমাদের চারপাশে ঘুরঘুর করতে থাকা, বেঁচে থাকা বিচিত্র সব মানুষজনকে তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। আর তাঁর সেই দেখার তীক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ আর ঘটনার টানটান জমাট উপস্থাপন এই বইয়ের গল্পগুলােকে দিয়েছে আলাদা ব্যঞ্জনা। র-এ রহস্য গল্পগ্রন্থে রাতের চৌকিদার, বামাপদবাবুর ছবি, মরা সাহেবের কোট, নন্দবাবুর ডুপ্লিকেট, মােবাইলের মামদোবাজি, ভুতুড়ে বাড়ি, উনি কে? এই সাতটি দুর্দান্ত গল্পের সমাহার। এসব গল্পে পাঠক নিজেদের খুঁজে পাবেন, পাবেন ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা। বইয়ের গল্পগুলাে পড়ামাত্রই পাঠকের চিন্তার রাজ্যে, ভাবনার রাজ্যে তুমুল আলােড়ন তুলবে— এমন ধারণা করা অযৌক্তিক হবে না। দীপান্বিতা রায়ের গল্পের কাহিনি, ভাষা, কাঠামাে সর্বোপরি উপস্থাপন রীতি আর দশজন লেখকের চেয়ে স্বতন্ত্র। তার লেখার পরতে পরতে থাকা। রহস্যের প্রলেপ আর নান্দনিক গতিশীলতা পাঠকের অন্তরে নতুন প্রশ্নের উদ্রেক করে।
দীপান্বিতা রায়
দীপান্বিতা রায় জন্ম পশ্চিমবঙ্গের শিল্প শহর বার্নপুরে। লেখালেখি করতে ভালােবাসেন তবে ছােটদের জন্য লিখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোেধ করেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তুলনামূলক সাহিত্যে পড়াশােনা করেছেন। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন সাংবাদিকতা। ২০০৮ সালে প্রথম বই প্রকাশিত হয়। রহস্য, অ্যাডভেঞ্চার, গােয়েন্দা, ভৌতিক, মানবিক, অতি প্রাকৃত কিংবা মানব জীবনের পাওয়া না পাওয়া- সব, বিষয়আশয় তার গল্পের অনুষঙ্গ।
২০১৭ সালে শিশু কিশাের সাহিত্যে অবদানের জন্য ৫ পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি, বিভাগের উপেন্দ্রকিশাের রায়চৌধুরী পুরস্কার। এছাড়া তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিশু কিশাের একাডেমিরও সদস্য। দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াতে আর ছবি তুলতে পছন্দ করেন।