সায়েন্স ফিকশান সমগ্রের তৃতীয় খণ্ডটি বের হল। কটি সময় ছিল যখন সায়েন্স ফিকশান লিখতাম আমরা দু-চার জন দলছাড়া মানুষ, এখন সময় পাল্টেছে। গত কয়েক বছর থেকে দেখছি প্রায় নিয়মিতভাবে প্রচুর সায়েন্স ফিকশান বের হচ্ছে, অনেকেই লিখছেন, তার মাঝে কেউ কেউ খুব ভালোে লিখছেন। যাঁরা লিখছেন তাঁদের প্রায় সবাই কমবয়সী তরুণযাঁরা সাহিত্যের নৃতন একটি ধারাকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভয় পান না। অনেকেই তাঁদের লেখা প্রথম বইটি আমাকে উৎসর্গ করে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলেছেন। প্রতি বছর শুধু যে নূতন বই বের হচ্ছে তা-ই নয়, সায়েন্স ফিকশান অনুবাদ করা হচ্ছে, দেশ-বিদেশের সায়েন্স ফিকশান নিয়ে সংকলন বের হচ্ছে, পত্র-পত্রিকা এবং সাময়িকীগুলা বিশেষ সায়েন্স ফিকশান সংখ্যা বের করছে। এমনকি প্রতিষ্ঠিত সাময়িকীগুলাে ঈদ সংখ্যায় গল্প- উপন্যাস-কবিতা এবং গুরুগম্ভীর প্রবন্ধের পাশাপাশি একটা সায়েন্স ফিকশান বের করার জন্যে জায়গা আলাদা করে রাখছে। দেখে আমার খুব ভালাে লাগেঅনুভূতিটি একটা ছােট গাছকে ডালপালা ছড়িয়ে বড় হয়ে যেতে দেখার অনুভূতির মতাে। আমার আনন্দটি একটু বেশি, কারণ যখন কেউ ছিল না তখন ছোট গাছটি দুমড়ে মুচড়ে যাবার ভয় ছিল, অযত্নে শুকিয়ে যাবার আশঙ্কা ছিল, আগাছা বলে উপড়ে ফেলে দেবার আতঙ্ক ছিল; তখন আমি এবং আমার মতাে দু-একজন এই গাছটিতে পানি দিয়ে বড় করেছি। এখন এই গাছটি বিশাল বৃক্ষে পরিণত হতে যাচ্ছে, তাকে ঘিরে অনেক মানুষ, কার সাধ্যি আছে এই গাছকে উপড়ে ফেলে?
সূচিপত্র *সিস্টেম এডিফাস *একজন অতিমানবী *মেতসিস *ইরন *শাহনাজ ও ক্যাপ্টেন ডাবলু *জলজ *প্রজেক্ট নেবুলা *ফোবিয়ানের যাত্রা
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
মুহম্মদ জাফর ইকবাল জন্ম : ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২, সিলেট। বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন থেকে। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং বেল কমিউনিকেশান্স রিসার্চে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করে সুদীর্ঘ আঠার বছর পর দেশে ফিরে দীর্ঘদিন অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্ত্রী প্রফেসর ড. ইয়াসমীন হক, পুত্র নাবিল এবং কন্যা ইয়েশিম।