সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমি ঘামছি। কলম্বোর এই শ্যুটিং অ্যারিনায় যে খুব বেশি লোক আছে, তা না। মোটমাট সিট হবে দুইশোর মত। তার মধ্যে গোটা পঞ্চাশেক দর্শকদের দখলে। শখের দর্শক বলতে গেলে নেই। গুটিকতক সাংবাদিক আছে, আর বাকি সবাই আসলে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শুটারদের আত্মীয় বা বন্ধু-বান্ধব। উৎসাহ দিতে এসেছে তাদের বন্দুকবাজ বন্ধুকে।
আমি একবার আড়চোখে তাকালাম সামনের সারিতে বসা আমার কোচ খালেকুজ্জামান স্যার আর তার পাশে বসা দুই স্বদেশী শুটার মনির আর সাদেকের দিকে। আমার ফ্রেন্ডস বলতে এই-ই, আর ফ্যামিলির কেউ উপস্থিত নেই। 'ফ্রেন্ডস' কথাটাও কতটা যুতসই হলো জানি না। মনির আর সাদেকের চোখেমুখে যেন লেখা আছে, আমি যাতে আমার ফাইনাল শটটায় ভালো না করি। ঘরের শত্রু বিভীষণ। নিজেরা ফাইনালেই উঠতে পারেনি। এখন আমি গোল্ড মেডেলটা না পেলেই তাদের পরাজয়ের ক্ষতে খানিকটা প্রলেপ পড়ে। আচ্ছা, আগে মেডেলটা জিতে নেই। দেশে ফিরে মজা দেখানো যাবে ছোটলোকের বাচ্চাগুলোকে।
নাবিল মুহতাসিম
নাবিল মুহতাসিমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা রংপুরে। বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা, মা গৃহিনী। রংপুর জিলা স্কুল এবং কারমাইকেল কলেজে অধ্যয়ন শেষে পড়াশােনা করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। বড় ভাই সুলেখক নিয়াজ মেহেদীর উৎসাহে ছােটবেলা থেকেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় একটি জাতীয় দৈনিকে। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকায় অসংখ্য লেখা প্রকাশিত হয়েছে তার। ২০১২ সালে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ বর্ন লিগ্যাসি, তারপর ফাইট ক্লাব। প্রথম মৌলিক উপন্যাস শ্বাপদ সনে প্রকাশিত হয় ২০১৬-এর বইমেলায়। পরের দু-বছর বাজিকর ট্রিলােজির এসপিওনাজ-ধূলার বাজিকর ও বাজি পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে। সম্প্রতি তার শ্বাপদ সনে উপন্যাসটি কলকাতার অভিযান পাবলিশার্স থেকে ভারতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। বিভং তার চতুর্থ মৌলিক উপন্যাস এবং প্রথম সায়েন্স ফিকশন।