নীলমণি রায় ওরফে নীলু। দাদার সাথে মেলা দেখতে গিয়ে সে পড়ে যায় ডাকাতদের খপ্পরে। ডাকাতরা তাকে ধরে নিয়ে যায় সুন্দরবনে, তাদের আবাসে। নীলু পড়ে মহাবিপদে। সে বয়সে কিশোর, সে কীভাবে এত বিপদ উপেক্ষা করে বের হবে প্রতিকূল এই সুন্দরবন থেকে? বাধ্য হয়ে সুন্দবনের জীবনের সাথেই মানিয়ে নিতে শুরু করে সে, সাথে বন্ধুও জুটে যায় কিছু। ব্যস, দেখতে দেখতে সময় পার হতে লাগলো।
সুন্দরবনের ঘাপটি মেরে পড়ে থাকা হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের আশঙ্কা, কখনো কখনো প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হওয়া বইয়ে মোটামুটি একটা রোমাঞ্চকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে৷ তবে এই উপন্যাসের সবকিছু ছাপিয়ে সুন্দর একটি অংশ লেখক খুব সুকৌশলে এনেছেন এক বৃদ্ধের মাধ্যমে। এই অংশে মূল চরিত্র নীলুর সাথে উপন্যাসের ক্লাইমেক্স এ ঘটে এক ট্রাজিক ঘটনা, যা তাকে কাছিমখালি চর নিয়ে যায়।আর সেই চরে বৃদ্ধের সাথে পরিচয় যেন তার পুরো জীবনের শিক্ষাকে বদলে দেয়!বিভূতিভূষণ সৃষ্ট এই বৃদ্ধ চরিত্রটির জন্য এই অভিযান কাহিনীটির এক মহত্তর ক্ষেত্রে উত্তরণ ঘটে।
এটি মূলত কিশোরদের কেন্দ্র করে লেখা। কারণ এই বয়সটি প্রতিটি শিশু-কিশোরের জন্য স্বপ্নের মতো। তাদের উচ্ছ্বাস ও উদ্যমী মনোভাবকে নাড়িয়ে দিতেই এই বইটির যাত্রা হয়। বইটি পড়ার মাধ্যমে পাঠক সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপ, নদী, চর, পশু-পাখি, গাছপালা সহ সেখানকার অমূল্য সব রত্ন-সম্পদ সম্পর্কে এর ধারণা পাবে। বইটি পাঠে আপনার ভীষন ভালো লাগবে।