রাশিয়ার স্পেশাল মিলিটারি অপারেশনের পেছনে তিনটি লক্ষ্যজ্জইউক্রেনকে ডিনাৎসিফিকেশন করা, ন্যাটোতে যোগ দেওয়া থেকে বিরত রাখা, ডনবাসের স্বাধীনতাকে সর্বজনস্বীকৃত করা এবং ন্যাটোকে ‘রেডলাইন ক্রস করার বিপদ স্মরণ করানো। পুতিন ডিক্লেয়ার দিয়েছেন “পশ্চিমা রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রভুত্ব শেষ”। ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত এই ৮ বছর ডনবাস রিপাবলিকের উপর ইউক্রেনের একপেশে যুদ্ধে প্রায় ১৬ হাজার ডনবাস নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ডনবাসের অধিকাংশ শহরের প্রায় ৬০ শতাংশ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। প্রায় ৫ লাখ ডনবাস নাগরিক রাশিয়াতে আশ্রয় নিয়েছে। এই ৮ বছরের জেনোসাইড, নিকৃষ্ট হলোকাস্ট, এ নিয়ে পশ্চিমা কোনো একটি মিডিয়ায় সংবাদ নেই! ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন মস্কোতে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদক্রমে এক বিশেষ সভায় পূর্ব ইউক্রেনের দুটি রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্ন অঞ্চল ডোনেটস্ক ও লহাস্ককে স্বাধীন দেশ স্বীকৃতি দিন। পুতিন স্বাধীনতাকামী লুহানস্ক এবং ডোনেটস্ক অঞ্চলে শান্তি রক্ষা অভিযান'-এর নির্দেশ দিয়েছিলেন। পশ্চিমা জোটের কাছে এটা সরাসরি চ্যালেঞ্জ যে রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। পুতিন বর্তমান সংকটের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটকে রাশিয়ার জন্য অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে অভিহিত করে রুশ ফেডারেশনের অস্তিত্ব রক্ষার শপথ নিয়েছিলেন। সোভিয়েত পতনের পর পশ্চিমারা রাশিয়াকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার জন্য ইউক্রেনকে ব্যবহার করতে চেয়েছে এবং তারই পদক্ষেপ হিসেবে ন্যাটো জোটভুক্ত করে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়াকে টার্গেট করে মিসাইল বসাতে চেয়েছে, যে মিসাইলগুলো মাত্র ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে মস্কোকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারবে। সেটা রাশিয়া কোনোদিনও হতে দেবে না।
মনজুরুল হক
সাধারণ অর্থে লেখক পরিচিতির ভেতর যেমন বেশ ওজনদার একটা ব্যাপার থাকে আমার ক্ষেত্রে সে সবের বালাই নেই। খুলনা জেলার একটি গ্রামে সাধারণ আর দশ জনের মতাে সাধারণ পরিবারে জন্ম। বাবা-মায়ের থাকতে পারে, তবে আমার বিশাল কিছু হবার স্বপ্নটপ্ন ছিল না । জন্মের পর ঊনপঞ্চাশটি বছর পার হয়ে গেছে। কী করেছি আর কী করতে পারিনি তারও কোনাে খাতওয়ারি পরিসংখ্যান নেই। স্বপ্ন না থাকলেও ইচ্ছা ছিল, আর সেই ইচ্ছাটি অঙ্কুরিত হয়েছিল ঘুড়ি ওড়ানাের, লাটিম ঘােরানাের বয়সে চরম বাস্তবতায়। মুক্তিযুদ্ধে আমার সহযােদ্ধা বাবা গত হয়েছেন। আছেন মা, চার ভাই বােন, স্ত্রী আর ফুটফুটে দুটি কন্যা। বিকলাঙ্গ ক্ষয়ে যাওয়া সমাজটাকে আমূল বদলে দেয়ার যে ব্রত কৈশােরে-যৌবনে পাগলা ঘােড়ার মতাে দাবড়ে ফিরেছে, আজও সেই ছুটে চলা থেমে যায়নি। আজও বুকের গভীরে সযতনে লালিত সেই ভেঙেচুরে নতুন নির্মাণের সুতীব্র বাসনা। আস্থায় মাটি ও মানুষ চেতনায় মাকর্সবাদ ধারণ করে এখনাে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখি-একদিন ঠিক পেরে যাব।