সমসাময়িক জীবনের প্রতিচ্ছবি ‘উত্তমপুরুষ'। বর্তমান সময়ের পারিবারিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থার প্রকৃত দর্পণ ‘উত্তমপুরুষ'। এই উপন্যাসের দুটি প্রধান চরিত্র স্বাধীন এবং সুলতানা। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া একজোড়া তরুণ-তরুণী হাস্যোচ্ছল চটুল জীবনের ধারায় মুখােমুখি হয় জটিল সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির। সত্য এবং মিথ্যায় একাকার হয়ে যায় পথচলা। দুরন্ত প্রেম বাধাগ্রস্ত হয় অর্থনৈতিক টানাপােড়েনে। দুটি হৃদয়ের অলিখিত ভালােবাসার চুক্তি ঠাই খোজে নিকাহনামার নীল কাগজে। পারিপার্শ্বিক কোলাহলে কৃত এবং অপ্রকৃত ক্রমশ ঝাপসা হতে শুরু করলে সংসার নামক ডুবন্ত তরিকে তীরে ভেড়ানাের জন্য এই নীল কাগজের আশ্রয় নেয় সুলতানা। খুঁজে পায় অমােঘ নিয়তি—স্বাধীন এবং সুলতানা পরস্পরের। এই বন্ধন শুধু দুজনার। কোলাহলকারীরা কেউ নয়। শাখাপ্রশাখা ছেঁড়ে সংসারের নিউক্লিয়াসে বিরাজ করে আদিম মানব-মানবী; আদম, ঈভ এবং তাদের সন্তানসন্ততি। সেখান থেকে শুরু হয় পথচলা। প্রতিটি দম্পতিই জীবনের যে-কোনাে পর্যায়ে নিজেদের আদম এবং ঈভের ভূমিকায় আবিষ্কার করে।
ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সংসার সাগরে হাল ধরেন জনক। সাহস জাগান, প্রত্যয়ী করে তােলেন। জীবনের যে-কোনাে সংগ্রামে চিরায়ত হয়ে ওঠে '৭১। সাহসী করে তােলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম—বেরিয়ে আসে তার ঐতিহাসিক খােলস থেকে হয়ে ওঠে চিরন্তন। বাংলা ব্যাকরণে আমি/আমরা উত্তমপুরুষ। “উত্তমপুরুষ’ বর্তমান সময়ের কথা, আমাদের কথা।
শামীমা সুলতানা
শামীমা সুলতানার জন্ম খুলনায় ১৯৭৯ সালের ২৪শে জুন। তিন ভাইবােনের মধ্যে তৃতীয় শামীমা ১৯৯৬ সালে রােটারী স্কুল খুলনা থেকে এসএসসি, ১৯৯৮ সালে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়ােটেকনােলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংএ স্নাতক। পরবর্তীকালে এমবিএ করেন। লেখালেখির শুরু তখন থেকেই। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা ত্রৈমাসিক ‘সূত্রপাত এ লিখেছেন নানান বিষয় নিয়ে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান বাংলা সাহিত্য পত্রিকা অনুশীলন’ এ তিনি। নিয়মিত লিখছেন। প্রথম উপন্যাস ‘স্বপ্নপুরুষ’ একুশে বইমেলা ২০১৮ তে প্রকাশিত হয়েছে। “উত্তমপুরুষ তার দ্বিতীয় উপন্যাস। বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ন্যাশনাল প্রােগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। ব্যক্তিজীবনে বিবাহিত ও দুই সন্তানের জননী।